Photo Gallery: পাহাড় থেকে হাসপাতালে পৌঁছতে অভিনব উদ্যোগ, ভারতে প্রথম পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু হল আলিপুরদুয়ারে
Palanquin Ambulance: এই পালকি তৈরি করতে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে গোটা কাঠামো তৈরি হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি করতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে
Follow Us:
আলিপুরদুয়ার: দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। হঠাৎ বাড়ির কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে আতান্তরে পড়েন পরিবারের লোকজন। খাটিয়ায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গলদঘর্ম হতে হয় পরিজনদের। এই পরিস্থিতিতে বুধবার অভিনব এক পদক্ষেপের সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ারের বক্সা পাহাড়ি অঞ্চল। ভারতের মধ্যে প্রথম পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু হল এখানে।
বুধবার বক্সায় উদ্বোধন হল পালকি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ চন্দ্র বেরা এই অভিনব অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ চন্দ্র বেরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ভারত বর্ষের মধ্যে প্রথম বক্সা পাহাড়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে চালু হল পালকি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম থেকে গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ মানুষদের সমতলে নিয়ে আসতেই এই যান পরিষেবা চালু হল। এতদিন বাঁশের মাচায় কাপড় জড়িয়ে রোগীদের বক্সা পাহাড়ের গ্রাম থেকে সমতলে নিয়ে আসা হত। কিন্তু এখন সেই জায়গায় পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালু হল। কী এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্স? এই পালকি তৈরি করতে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে গোটা কাঠামো তৈরি হয়েছে। পালকি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি করতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সটি বহন করবে চারজন ভলান্টিয়ার। পালকি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামও রাখা হয়েছে। বক্সা পাহাড়ে এমন পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি পাহাড়ের ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা। এর পর ল্যাপচাখা,তাসিগাঁও এলাকাতেও পালকি অ্যাম্বুলেন্স চালু হবে।এটি যুগান্তকারী ঘটনা।
এ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, “এতদিন বক্সা পাহাড়ের গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাঁশে কাপড় ঝুলিয়ে সমতলে নিতে আসা হত। বুধবার থেকে আর ওই দৃশ্য দেখা যাবে না। এখন পালকি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হল। একটি বড় অ্যাম্বুল্যান্সে যা যা থাকে তার অনেক কিছুই সেখানে থাকবে। বক্সার স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন দিক।”
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার তুষার চক্রবর্তী বলেন, “ন্যাশনাল হেলথ মিশনের মাধ্যমে আমরা বক্সা পাহাড়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছি। আমাদের ভলান্টিয়াররা এতদিন বাঁশের মাচায় করে গর্ভবতী ও অসুস্থ ব্যাক্তিদের সমতলে নিয়ে আসতেন। কিন্তু আধুনিক সমাজে এমন দৃশ্য দেখে খারাপ লাগত। তাই পালকি অ্যাম্বুল্যান্স চালুর ভাবনা আনি। ইতিমধ্যেই একটি পালকি অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেছি।”