তাঁদের বিবাহিত জীবনের এক অধ্যায় পার হয়ে গিয়েছে কবেই। আপাতদৃষ্টিতে হাসিখুশি জুটি তাঁরা। অথচ এই জুটির মধ্যেই একদা নেমে এসেছিল অন্ধকার। কথা হচ্ছে কাজল ও অজয় দেবগণের। নিজের ছোট্ট ভুলেই প্রথম সন্তান হারান কাজল, এরপর যা হয়েছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তা ভয়ঙ্কর।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই 'কভি খুশি কভি গম'-এর শুট করছিলেন কাজল। শাহরুখের সঙ্গে কেমিস্ট্রি তাঁর জমে উঠছিল ক্রমশ। ছবির পরিচালক ছিলেন করণ জোহর। সে সময় এক জনপ্রিয় গানের নাচের দৃশ্যের শুট করছিলেন কাজল। আর তখনই ঘটে যায় চরম দুর্ঘটনা।
পড়ে যান কাজল। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হন অজয়। শোনা যায়, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও কাজলের নাচের দৃশ্যে অভিনয় করছেন জেনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি অজয়। সবার সামনেই নাকি থাপ্পড় মারেন কাজলকে।
ঘটনায় অবাক হয়ে যান সকলেই। কাজলকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। জানা যায়, তাঁর গর্ভস্থ সন্তান আর জীবিত নেই। করণ জোহরের সঙ্গেও অজয়ের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। তাঁদের প্রথম সন্তান নষ্ট হওয়ার পেছনে অজয় দায়ী করেছিলেন করণকেই।
পরবর্তীতে গর্ভপাতের ঘটনা স্বীকার করে নিলেও অজয়ের চড় মারা প্রসঙ্গ কোনওদিনও তোলেননি কাজল। তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এই ঘটনা আজও লোকের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। এরপর মা হতেও বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল কাজলকে।
তাঁর পরের সন্তানও গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়, অবশেষে ২০০৩ সালের ১৯ এপ্রিল মা হন কাজল। সংসারে আসে মেয়ে নাইসা। এরপর আরও পুত্র সন্তানেরও জন্ম দেন কাজল। তবে অতীত যে আজও তাঁর মানে ক্ষত হয়ে রয়ে গিয়েছে সে কথা নিজেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন কাজল।