ব্রণ হলে দেখতে খুবই খারাপ লাগে। অধিকাংশ সময় ব্রণ হয় ঠিক কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়ার আগে। কিংবা পুজোর আগে যখন আপনি সাজগোজের জন্য তুমুল প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্রণর সমস্যা হয়। এবার ব্রণর সমস্যা হলে অনেক সময়ই চিকিৎসকেরা ওষুধ দেন। ওষুধেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
ব্রণর সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। ক্রিম, সাবান ব্যবহার করুন। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও সেখান থেকে ব্রণ হতে পারে। আর তাই নিয়ম করে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল আর দিনের মধ্যে আট ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
রোজ বেশি তেল-মশলাদার খাবার খেলে সেখান থেকেও সমস্যা হতে পারে। শাকসবজি, মরসুমি ফল এইসব বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়ির তৈরি খাবার খান। বাড়ির খাবারেও তেল-মশলা একেবারে কম খেতে হবে।
অতিরিক্ত চাপ, টেনশন থেকেও মুখে ব্রণ হতে পারে। আর তাই চাপ কমলে সেখান থেকে সমস্যা কমে যায়। তবে ব্রণর উপর বিরক্ত হয়ে ভুল করেও খুঁটে ফেলবেন না। এতে মুখে দাগ বসে যায়।
চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক ভাবেই ব্রণর সমস্যা দূর করতে। কাঁচা হলুদ আর নিম পাতা একসঙ্গে থেঁতো করে ব্রণতে লাগান। এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। যা যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখতে হবে। রোজ সকালে এই প্যাক লাগাতে পারলে খুব ভাল। ১০ দিনেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মুলতানি মাটিও ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যয় করে। কারণ এর মধ্যে থাকে ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড। যা ত্বককে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। মুখে যত বেশি হাত দেওয়া হয় ততই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।