পাতুরি বাংলার এবং বাঙালির একেবারে নিজস্ব খাবার। আজ থেকে কয়েক বছর আগে এই পাতুরির প্রথম চল শুরু হয় বাঙালির হেঁশেলে। আদিম মানুষ সেঁকে মাংস খেতেন। পাতুরিও সেই সেঁকা রান্নার বিবর্তন।
পাতার সব উপকরণ মুড়ে হালকা আঁচে সেঁকে নেওয়া হয় বলেই এর নাম পাতুরি। শুধুমাত্র মাছ কিংবা ডিম নিয়, নিরামিষেও অনেক রকম পাতুরি বানানো যায়।
বাংলা ছাড়াও গোয়াতে নানা রকম পাতুরি খাওয়ার চল রয়েছে। এই পাতুরির রেসিপি অবশ্য গোয়াতে এসেছে পোর্তুগিজদের হাত ধরে।
গরম ভাতের সঙ্গে পাতুরি খাওয়ার মজাই আলাদা। রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। পুরতনকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার পালা। আর তাই এমন দিনে পাতুরি পাতে না পড়লে খাওয়া ঠিক জমে না।
মাছের পাতুরি, ডিমের পাতুরি তো হামেশাই খান। আজ রইল একেবারে নিরামিষ ঝিঙে কুমড়োর পাতুরি। পুরনো এই সব রান্নার স্বাদ যেমন হয় তেমনই খেতেও লাগে খুব সুন্দর।
ঝিঙে লম্বা লম্বা বড় টুকরো করে কেটে নুন জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। সরষে, কাঁচা লঙ্কা বেটে নিতে হবে। এবার এই সরষে, হাফ চামচ চালের গুঁড়ো, হলুদ আর জল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে রাখুন। ওর সঙ্গে মিশিয়ে নিন কারকেল বাটা
কুমড়ো খোসা ছাড়িয়ে একদম পাতলা করে কেটে নিন। এবার জল ঝারিয়ে ঝিঙে, কুমড়ো এই মিশ্রণে ভাল করে ম্যারিনেট করে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার প্যানে তেল ব্রাশ করুন। একটা কলাপাতায় তেল বুলিয়ে ওর মধ্যে ঝিঙে কুমড়োর টুকরো দিয়ে ভাল করে মুড়ে নিন।
এবার ঢাকা দিয়ে উল্টে পাল্টে সেঁকে নিতে হবে। এতেই সবজি সিদ্ধ হবে। পরিবেশন করার আগে উপর থেকে নারকেল কোরা আর সরষের তেল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।