Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Akshaya Tritiya 2024: সংসারে হু হু করে ঢুকবে অগাধ সুখ-সৌভাগ্য! বাড়তি আয় বৃদ্ধির জন্য অক্ষয় তৃতীয়ায় করুন এই কাজ

Lakshmi Puja: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হলে সংসারে হু হু করে প্রবেশ করে বাড়তি আয়, সুখ ও সৌভাগ্য। সেই সঙ্গে সারাবছর বজায় থাকে লক্ষ্মীর আশীর্বাদও। জ্যোতিষীদের মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনা খুবই শুভ।

Akshaya Tritiya 2024: সংসারে হু হু করে ঢুকবে অগাধ সুখ-সৌভাগ্য! বাড়তি আয় বৃদ্ধির জন্য অক্ষয় তৃতীয়ায় করুন এই কাজ
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2024 | 8:07 PM

দিওয়ালির আগে ধনতেরাস নয়, সামনেই অনুষ্ঠিত হবে বাঙালির ধনতেরাস। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হলে সংসারে হু হু করে প্রবেশ করে বাড়তি আয়, সুখ ও সৌভাগ্য। সেই সঙ্গে সারাবছর বজায় থাকে লক্ষ্মীর আশীর্বাদও। জ্যোতিষীদের মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনা খুবই শুভ। তাই অক্ষয় তৃতীয়ায় বাঙালিরা সোনার দোকানে গিয়ে সোনার গয়না কেনেন। মনে করা এদিনের গোটা দিনই সকল প্রকার শুভকাজ সম্পন্ন হয়।

ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হয়। বাংলা বিশুদ্ধ ক্যালেন্ডার মতে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া পালিত হবে আগামী ১০ মে। এদিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ায় দেবী লক্ষ্মীর পুজো করলে আয়, সুখ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি লক্ষ্মীর আশীর্বাদও বর্ষিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনা খুবই শুভ। তাই অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনার গয়না কেনার হিড়িক পড়ে। তবে, দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে অক্ষয় তৃতীয়ায় পুজোর সময় কী কী করা উচিত। অনেকেই হয়তো জানেন না, পুরাণ অনুযায়ী অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এদিন বেদব্যাস ও গণেশ মহাভারত রচনা শুরু করেছিলেন। এদিন থেকে সত্য যুগের অবসান হয়ে ক্রেতা যুগেরও সূচনা হয়।

তাৎপর্য

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়াকে অত্যন্ত শুভ সময় বলে মনে করা হয়। এদিনে কোনও শুভ কাজ করার জন্য পঞ্জিকা দেখে কোনও শুভ সময় সূচনার প্রয়োজন নেই। মনে করা হয়, এদিনে করা সব কাজের জন্যই শুভ ফল পাওয়া যায়। ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে সারাবছর। এদিন শুভ বিবাহের জন্য সবচেয়ে শুভ সময় বলে মনে করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দেবী লক্ষ্মী ও বিষ্ণুর আরাধনার পর পুরাণ পাঠ করা বেশ কার্যকরী হয়। দশমহাবিদ্যার একজন মাতঙ্গী দেবী অক্ষয় তৃতীয়ায় অবতীর্ণ হন। অক্ষয় তৃতীয়ায় ভগবান বিষ্ণুর হায়গ্রীব ও পরশুরাম অবতারও আবির্ভূত হয়েছিলেন। দ্বাপরযুগের অবসান ঘটে ত্রেতাযুগ-সত্যযুগও এই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল। তাই একে উগাদি তিথি বলা হয়। এদিনে দেশের বিখ্যাত চারধাম যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর দরজা খোলা হয়। তারপর ধীরে ধীরে অন্য ধামের দরজাও সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয় এই শুভ দিনের রীতি মেনেই। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা আদি-অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা ছয়মাস বন্ধ থাকার পর এদিনেই দ্বার উদ্‌ঘাটন করা হয় সাধারণের জন্য। দ্বার খুললেই দেখা যায় অক্ষত অক্ষয়দীপ। এই অক্ষয়দীপ ছয়মাস আগেই জ্বালিয়ে রাখা হয়, তা ঠিক ৬মাস পরে ঠিক সেভাবেই জ্বলতে দেখা যায়।