Holi 2023: আবির বা ফুল নয়, এ শহরে হোলির দিন খেলা হয় জ্বলন্ত চিতার ভস্ম দিয়ে!
Holi celebrations: রঙ, আবির বা ফুল দিয়ে নয়, শ্মশানের চিতার ভস্ম দিয়ে খেলা হয়। এ এক অভিনব হোলি খেলা। এ বছর এই অনন্য হোলি খেলা হবে রমভারী একাদশীর দ্বিতীয় দিনে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলির মতো পবিত্র উত্সব পালিত হয়। সারা দেশেই আবির, রঙ নিয়ে খেলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্য়েই বাজারে নানা রঙের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন বিক্রেতারা। বারানসী হল হোলি খেলার সর্বশ্রেষ্ঠ গন্তব্যস্থল। কিন্তু একই শহরের পাশেই রয়েছে অন্য এক রঙিন উত্সব। প্রতি বছর কাশীতে হোলিতে রঙ ও আবির খেলা নয়, বাবা বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে এক অন্য হোলি খেলা হয়। রঙ, আবির বা ফুল দিয়ে নয়, শ্মশানের চিতার ভস্ম দিয়ে খেলা হয়। এ এক অভিনব হোলি খেলা। এ বছর এই অনন্য হোলি খেলা হবে রঙ্গভারী একাদশীর দ্বিতীয় দিনে। ৪ মার্চ, বারাণসীর মণিকর্ণিকার ঘাটে সকাল সাড়ে ১১টার সময় এই ব্যতিক্রমী হোলি পালিত হবে। তবে বারানসীতে হোলির সূচনা ফাল্গুন পূর্ণিমার আগে রংভারী একাদশী থএকে পালিত হয় বলে মনে করা হয়। মহাদেবের এই শহরে কেন জ্বলন্ত চিতার মধ্যে থেকে তোলা ভস্ম তুলে হোলি খেলা হয়, তা অনেকেই জানেন না। তবে এর রয়েছে ধর্মীয় তাত্পর্য রয়েছে।
বিশ্বাস করা হয়, রঙ্গভারী একাদশীর দিন মহাশ্মশান মণিকর্ণিকা ঘাটে চিতার ছাই মেখে মহাদেব স্নান করতে নামে। প্রতি বছর এই প্রথা নিয়ম মেনে ভক্তরা ছাই মেখে হোলি খেলেন। তারপর গঙ্গার ঘাটে গিয়ে স্নান করেন। প্রথা অনুযায়ী, বিকেলে বাবা মহাশ্মশানাথ ও শ্মশানকালীকে আরতি করে হোলি খেলা শুরু হয়। তারপর অধিষ্ঠিত দেব-দেবীদের ভস্ম ও আবির নিবেদন করা হয়। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিকে অবলম্বন করে সেই ঐতিহ্য মেনে চলা হচ্ছে আজও। কাশীর শ্মশানে যে হোলি খেলা হয় তা মোক্ষলাভের আশায় করা হয় বলে মনে করা হয়। তবে এর অনেক ধর্মীয় তাত্পর্য রয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, এখানে চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলে মৃত্যুভয় জয় করা হয়। মানুষের জীবনের চরম সত্যই হল মৃত্য়ুভয়, যা দূর করা অত্যন্ত কঠিন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, শ্মশাননাথের ভস্ম খেললে ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। সারা বছর ভূত-প্রেত ও অশরীরী আত্মার ভয় ও বাধা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।