Holi Tips: এদিন রাতে নববিবাহিতরা ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না! হারাতে হবে অনেক কিছু

Holika Dahan: শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, হোলিকা দহনের রাতে স্বামী ও স্ত্রীকে সংযমের সঙ্গে বসবাস করা উচিত। তাতে ভগবানের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।

Holi Tips: এদিন রাতে নববিবাহিতরা ভুলেও এই ৫ কাজ করবেন না! হারাতে হবে অনেক কিছু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 9:30 AM

হোলিকা দহনের রাতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পুজো কলে ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাড়িতে থাকে মনোরম ও আনন্দের পরিবেশ। ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধির বর্ষণ হয়। শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, হোলিকা দহনের রাতে স্বামী ও স্ত্রীকে সংযমের সঙ্গে বসবাস করা উচিত। তাতে ভগবানের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। এর পাশাপাশি শাস্ত্রে এমন অনেক কিছু কথা বলা হয়েছে যেগুলি হোলিকা দহনের রাতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে করলে তাদের সম্পর্ক আরও মধুর হয়। বৃদ্ধি পায় সুখ-শান্তি। এই প্রতিকারগুলি কী কী?

শারীরিক মিলন ভুলেও না

পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয় হোলিকা দহন। শাস্ত্রে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে সম্পর্ক স্থাপন করা অশুভ বলা হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণের ধ্যান করার সময় এড়িয়ে চলা উচিত ও ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। দ্বিতীয়টি হল এই সময় গ্রহগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় অবস্থান করে, যার কারণে এদিনে গর্ভধারণ হলে সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, হোলিকা দহনে যতটা সম্ভব সংযত থাকুন। ব্রহ্মচর্য পালন করা দরকার।

সারারাত স্বামী-স্ত্রী জেগে থাকুন

পঞ্চাঙ্গ অনুসারে শেষ পূর্ণিমা তিথিতে হোলিকা দহন পালন করা হয়। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এদিন রাতে স্বামী-স্ত্রী জেগে থেকে লক্ষ্মীর পুজো করা জরুরি। এদিন ধনলক্ষ্মীর মন্ত্রপাঠ করে থাকলে সারা বছর ধরে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন। যত বেশি আনন্দে দিন কাচাবেন তত বেশি জীবন সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।

একসঙ্গে ভোগ নিবেদন করুন

প্রতিদিন খাবার তৈরির পর একটি অংশ ঈশ্বরকে নিবেদন করেন, তাহলে বাড়িতে আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে আসে। যদি প্রতিদিন এটি করতে না পারেন তাহলে হোলি, দীপাবলী, চৈত্র নবরাত্রির দিন এই কাজটি করতে পারেন। হোলিকা দহনের দিন স্বামী-স্ত্রী মিলে সকল দেব-দেবী ও ভগবান বিষ্ণুকে অন্ন নিবেদন করার পর প্রসাদ গ্রহণ করুন। তাতে স্বাস্থ্য থাকে ভালো। বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

শিবলিঙ্গ দর্শন করবেন না

হোলিকা দহন অর্থাত ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথিতে নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী, গর্ভবতী মহিলারা মন্দিরে যদি যান তাহলে শিবলিঙ্গ দেখবেন না। মহাদেবের পুজো করলেও শিবলিঙ্গের পুজো এড়িয়ে চলুন। সন্তান হওয়ার পর শিবলিঙ্গের পুজো করার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করা হয় যে নববিবাহিত দম্পতিদের হোলিকা দহন দেখা উচিত নয়। তাদের বিবাহিত জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে চাঁদ দেখুন

হোলিকা দহনের সন্ধ্যের সময় চন্দ্র দেখার সময় ক্ষীর প্রসাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চন্দ্রদেবতাকে নিবেদন করা শুভ। পাশাপাশি প্রসাদের একটি অংশ দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে হবে। একই রাতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে চন্দ্রদেবের দর্শন করা উচিত। বিবাহিত জীবন শুভ প্রভাব ফেলে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। এছাড়া জন্মকুন্ডলীতে চন্দ্রের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে মনোবল বৃদ্ধি পায়। ফাল্গুন পূর্ণিমায় চন্দ্র সিংহ রাশিতে অবস্থান করবে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে চাঁদ দেখলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক, উভয় দিক থেকেই উপকৃত হবে।