Blissful Marriage: সামনেই বিয়ে! বিবাহিত জীবনে সুখ পেতে জন্মকুণ্ডলীতে এই কটি গুণ রয়েছে তো!
Importance of 36 Gunas: হিন্দু ধর্মে বিয়ের আগে পাত্র ও পাত্রীর জন্মছকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দুধর্মে বিয়ের আগে কুন্ডলী মেলানোকে বিশেষ বলে মনে করা হয়।
বিয়ের কথা উঠলেই প্রথমে যে জিনিসটির কথা মাথায় আসে তা হলে জন্মকুন্ডলীর মিলছে কিনা। বিয়ের আগে মেয়ে ও ছেলে উভয় চরিত্রের ভাল -মন্দ দিকগুলি চিহ্নিত করা হয়। একে অপরের রাজযোটক কিনা তা জানার জন্য জন্মকুন্ডলী দেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। হিন্দু ধর্মে বিয়ের আগে পাত্র ও পাত্রীর জন্মছকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দুধর্মে বিয়ের আগে কুন্ডলী মেলানোকে বিশেষ বলে মনে করা হয়। অনেকেই মনে করেন জন্মছকে ৩৬টি গুণের মধ্যে যদি ৩৬টি গুণই উল্লেখ থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত শুভ ও সুখী দাম্পত্যজীবন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। পাত্র-পাত্রীর কুষ্ঠী মিললে তবেই তাঁরা সুখী বিবাহিত জীবন হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। দাম্পত্য জীবন সুখের করতে রাশিফলের সঙ্গে এই ৩৬ গুণের মিল রয়েছে।
কত ধরনের গুণ রয়েছে
জন্মছকে গুণ মিলনে মোট ৮টি গুণ দেখা যায়। প্রতিটি গুণেপ নিজস্ব সংখ্যা রয়েছে। সেই সংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় মোট কতগুলি গুণ পাওয়া সম্ভব। তার আগে জেনে নিন এই ৮টি গুণ কী কী? বর্ণ সংখ্যা ১, বৈশ্য সংখ্যা ২, তারার সংখ্যা ৩, যোনির সংখ্যা ৪। একইভাবে গ্রহের যোগে ৫বিন্দু, ৬ বিন্দু, ভাকূট ৭ বিন্দু, নদী ৮ বিন্দু, এই সব মিলিয়ে মোট ৩৬টি গুণ তৈরি করা হয়।
বিবাহিত জীবন সুখী করতে কতগুলি গুণ থাকা প্রয়োজন, তা জানুন…
– যদি কোনও পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে ১৮টিরও কম গুণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিবাহ সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
– পাশাপাশি, যদি কোনও পাত্র-পাত্রীর ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে গুণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের দাম্পত্য জীবন খুব সুখের হয়।
– যদি ২৫ থেকে ৩২টি গুণ দেখা যায়, তাহলে বিবাহের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ অনুসারে জন্মছকে এমন সংখ্যার গুণের উল্লেখ থাকলে সেই বিয়ে কখনও বিচ্ছেদের দিকে এগোয় না।
– যদি পাত্র-পাত্রীদের জন্মছকে ৩২ থেকে ৩৬ গুণ পাওয়া যায়, সেই বিবাহিত জীবন সবচেয়ে সুখকর হয় বলে মনে করা হয়। এইধরনের বিয়ে সবসময় সফল পরিণতি পায়।
৩৬টি গুণ পেলেই কি দাম্পত্য জীবন সুখের হয়?
গুনা মিল হল রাশিফলের মিলের একটি ছোট অংশ। শুধু গুণ পেয়েই কারো দাম্পত্য জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা ধরা পড়ে না। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে অনেক সময় ৩৬ গুন পেয়েও দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরে। কারণ গুণ ছাড়াও অন্যান্য গ্রহের অবস্থানও জন্মকুণ্ডলীতে দেখা যায়। কুণ্ডলীর সপ্তম ঘর হল বিবাহের স্থান। রাশি অনুযায়ী যদি সপ্তম ঘরে গ্রহ অবস্থান করে, তাহলে জীবনসঙ্গীর স্বভাব কেমন হবে, তা জানতে পারবেন।
জন্মকুন্ডলীতে মঙ্গলদোষ রয়েছে কিনা তা জানাও জরুরি
যখনই বিবাহের জন্য জন্মছক ও রাশি দেখা হয়, তখন তাতে মঙ্গল দোষ রয়েছে কিনা তা জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মঙ্গল যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে আরোহী ঘর থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে, তাহলে সেই ব্যক্তির মাঙ্গলিক যোগ রয়েছে বলে মেনে নেওয়া হয়। মাঙ্গলিক রয়েছে এমন পাত্রের সঙ্গে মাঙ্গলিক যোগ থাকা পাত্রীর বিবাহ হলে সেই দাম্পত্য জীবন কখনও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।