Janmashtami 2023: এবারের জন্মাষ্টমীতে সর্বার্থ সিদ্ধি-সহ ৪ শুভ যোগ! বাড়িতে কখন করবেন গোপালের পুজো?
Auspicious Coincidence: পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ভাদ্রপদ কৃষ্ণ অষ্টমীর রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল, ঠিক সেই সময় আকাশে দেখা গিয়েছিল রোহিণী নক্ষত্রও। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীতে, অষ্টমী তিথিতে রোহিনী নক্ষত্রের অবস্থান চিহ্নিত হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর মহা উৎসব। এ বছর ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর দিনে ৪ শুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে। সে দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ, রোহিণী নক্ষত্র এবং বুধাদিত্য যোগের একটি সুন্দর সমন্বয় ঘটতে চলেছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ভাদ্রপদ কৃষ্ণ অষ্টমীর রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল, ঠিক সেই সময় আকাশে দেখা গিয়েছিল রোহিণী নক্ষত্রও। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীতে, অষ্টমী তিথিতে রোহিনী নক্ষত্রের অবস্থান চিহ্নিত হয়। তাই এদিন জন্মাষ্টমী উদযাপন করাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
২০২৩ সালের জন্মাষ্টমীতে এই ৪ শুভ ঘটনা
এই বছর জন্মাষ্টমীতে, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সারা দিনের জন্য থাকবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে,, যেখানে রবি যোগ সকাল ০৬টা ১ মিনিট থেকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত গঠিত হয়, থাকবে বুধাদিত্য যোগও। পুরো দিন জুড়েই এই তিন যোগই শুভ অবস্থায় বিরাজ করবে। এছাড়াও রোহিণী নক্ষত্র সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হয়, যা জন্মাষ্টমীর পরের দিন, ৭ সেপ্টেম্বর, সকাল ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত স্থির থাকবে। জন্মাষ্টমীর উৎসব রোহিণী নক্ষত্রে পালিত হবে ও উপবাসও পালিত হবে। এ বছর শুধু রোহিণী নক্ষত্রেই গোপালঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হবে।
গৃহস্থদের জন্য জন্মাষ্টমী উপবাস: ৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার
ইসকন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী: ২৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার
জন্মবার্ষিকীর শুভ সময় কী?
এ বছর, শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে, গোপাল ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর শুভ সময় রাত ১১টা ৫৭ মিনিট থেকে গভীর রাত ১২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে পুজো ও আরতি অনুষ্ঠিত হবে। স্নানের পর সুন্দর করে সাজিয়ে, রঙিন ও সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে অভিষেক করা হয়। এরপর শুরু হয় পুজো, ভজন, কীর্তনের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও করা হয়ে থাকে।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, দ্বাপর যুগে ভগবান বিষ্ণু অষ্টম অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণ মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তখন তিনি দেবকীর গর্ভ থেকে অষ্টম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবের নানা কীর্তি, রাধার প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মহাভারত যুদ্ধের নীতি, গীতা প্রচারের মতো অসংখ্য তথ্য রয়েছে, যেখানে শ্রীকৃষ্ণের মাহাত্ম্য, বীরত্ব ও ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।