Kurma Jayanti 2022: এদিন সারারাত জেগে বিষ্ণুর উপাসনা কেন করা হয়? এর তাত্পর্য ও গুরত্ব সম্পর্কে জানুন
Kurma Jayanti: অন্যান্য উত্সবের মত, এইদিন ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে সারাদিন উপবাস রাখেন ভক্তরা। দেবতাকে চন্দন, তুলসী পাতা, কুমকুম, ধূপকাঠি, ফুল এবং মিষ্টি নিবেদন করে পুজো দেওয়া হয়।
সংস্কৃতে কুরমা শব্দের অর্থ কচ্ছপ। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় বিশাল মন্দারাচল পর্বতকে উত্তোলনের জন্য, ভগবান বিষ্ণু নিজেকে কচ্ছপের আকারে উপস্থাপন করেছিলেন। এই কারণেই ভক্তরা এদিন কুর্মা জয়ন্তী পালন করে থাকেন। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে বিষ্ণু একটি দৈত্যাকার কূর্ম বা কচ্ছপ রূপে আবির্ভূত হয়ে মন্দ্রাচল পর্বতকে নিজের পিঠে ধরে রেখেছিলেন। কুর্মা রূপে তাঁর সাহায্য ছাড়া ক্ষীরসাগর সম্পূর্ণ হত না। তাই, কুর্মা জয়ন্তীর দিনটি মহান ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দুদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
তারিখ
এই উৎসবটি সাধারণত মে বা জুন মাসেই পালিত হয়। শুক্লপক্ষে পূর্ণিমার সময় সাধারণত উত্সবটি মেনে চলা হয়। চলতি বছরের ১৫ মে পালিত হচ্ছে এই কুর্মা জয়ন্তী।
পূর্ণিমা তিথি- ১৫ মে থেকে শুরু হবে বেলা ১২টা ৪৬ মিনিটে, সমাপ্তি হবে ১৬ মে, সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে। দ্রিক পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, কুর্মা জয়ন্তীর শুভ মুহূর্ত হল বেলা ৪টে ২২ মিনি থেকে সন্ধ্যে ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত।
পুজোবিধি
এইদিন ব্রহ্মসময়ে পুজো পাঠ করার জন্য ভোরে ওঠে স্নান সেরে পরিস্কার পোশাক পরে নিতে হবে। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে পবিত্র স্নান করাকে পবিত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। ঘর ও ঠাকুরের সমস্ত জিনিস পরিস্কার করতে হবে। এদিন বিষ্ণুর মন্দিরগুলিতে বিশেষ পুজো করা হয়ে থাকে। অন্ধ্র প্রদেশ ‘শ্রী কুরমান শ্রী কুরমানাধ স্বামী মন্দিরে বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। অন্যান্য উত্সবের মত, এইদিন ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে সারাদিন উপবাস রাখেন ভক্তরা। দেবতাকে চন্দন, তুলসী পাতা, কুমকুম, ধূপকাঠি, ফুল এবং মিষ্টি নিবেদন করে পুজো দেওয়া হয়। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করার পরে, ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা আরতি করেন এবং পরিবার-বন্ধুদেরও ভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে এই পুজোয় উপবাসকারী ভক্তকে রাতে ঘুমতো দেওয়া হয় না। তারা সারারাত বিষ্ণু সহস্রনাম জপ পাঠ করতে থাকেন। এই দিন শুধুমাত্র দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং ফল খাওয়াই রীতি।