Ganesh Chaturthi: সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির ছাড়াও রয়েছে আরও বিখ্যাত ও প্রাচীন গণেশ মন্দির! কোথায়?
মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিভিনায়ক মন্দির ছাড়াও ভারতে গণেশকে উত্সর্গ করে আরও বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে, সেইসব মন্দিরগুলির কোথায় অবস্থিত তা জেনে নিন...
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আর কয়েকদিন পরেই গণেশ চতুর্থী উত্সব। ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় উত্সবটি পালন করা হয়। এই সময় ভক্তরা বাড়িতে গণপতির পুজো করেন ও মন্দিরে মন্দিরে সিদ্ধিধাতাকে দর্শন করেন। মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিভিনায়ক মন্দির ছাড়াও ভারতে গণেশকে উত্সর্গ করে আরও বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে, সেইসব মন্দিরগুলির কোথায় অবস্থিত তা জেনে নিন…
সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, মুম্বই (মহারাষ্ট্র)
মুম্বইয়ের প্রভাদেবী এলাকায় সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দির দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে সিদ্ধিভিনায়ককে ‘ইচ্ছাপূরণকারী প্রভু’ বা ‘জ্ঞানের প্রভু’ বা ‘আলোকিত ব্যক্তি’ হিসেবে ভক্তি করা হয়। সিদ্ধিভিনায়ক মূর্তি অন্যান্য গণেশ মূর্তির মত নয়। এখানে, বাপ্পা লাল রঙের উজ্জ্বল, কপালে তৃতীয় চোখ, চার হাত রয়েছে। সিদ্ধিবিনায়ক বাপ্পার একটি হাতে পদ্ম, একটি কুড়াল, একটি জপমালা (পবিত্র পুঁতির মালা) এবং ও বাম হাতে একটি মোদক থাকে।
শ্রীমন্ত দগদুশেঠ হালওয়াই মন্দির (পুনে, মহারাষ্ট্র)
পুনের শ্রীমন্ত দগদুশেঠ হালওয়াই গণপতি মন্দির, দাগুশেথ হালওয়াই দ্বারা নির্মিত একটি মন্দির, যিনি পেশায় সত্যিকারের হালওয়াই ছিলেন। এটি মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় বিখ্যাত মন্দির। এই মন্দির ভারতের অন্যতম ধনী এবং জটিল স্বর্ণের অলঙ্কৃত নকশার জন্য বিখ্যাত।
গণেশ টক (গ্যাংটক, সিকিম)
সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই মন্দিরটি ভগবান গণেশকে উত্সর্গ করা হয়েছে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের নামে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে।
গণপতিপুলে ( রত্নগিরি, মহারাষ্ট্র)
এই মন্দিরের গণেশ মুর্তি পশ্চিম দিকে মুখ করে অবস্থিত। মহারাষ্ট্র্রের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির।
রকফোর্ট উচি পিল্লায়ার মন্দির (তিরুচিরাপল্লী, তামিলনাড়ু)
এই মন্দিরের সঙ্গে একটি সুন্দর কাহিনি জুড়ে রয়েছে। রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে, লঙ্কার রাজাকে পরাজিত করার পর রাবণের ছোট ভাই বিভীষণকে রাম শ্রী রঙ্গনাথের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্গের দেবতারা চাননি, বিভীষণ সেই মূর্তি লঙ্কায় নিয়ে যান। সেই সময় মূর্তিটি যাতে তাঁর সঙ্গে না থাকে, তার জন্য ভগবান গণেশের সাহায্য চেয়েছিলেন দেবতারা। তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে গণেশ এক গোরুর ছদ্মবেশে বিভীষণের সামনে হাজির হয়েছিলেন। স্বেচ্ছায় বিভীষণকে সাহায্য করেন। পরবর্তী সময় বিভীষণ যখন কাবেরী নদীতে স্নান করতে চেয়েছিলেন, সেই সুযোগে শ্রী রঙ্গনাথের মূর্তিটি মাটিতে স্থাপন করেন তিনি। তার ফলে ওই মূর্তিটি আর সরানো যায়নি। এই কাণ্ড দেখে বিভীষণ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন ও তিনি গণেশকে উচি পিল্লায়ারে নিয়ে যান। সেখানে গোরুকে চেপে ধরলে শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারেন, গণেশ ছদ্মবেশে তাঁর কাছে এসেছিলেন।
করপাগা বিনয়গর মন্দির (পিল্লাইয়ারপট্টি, তামিলনাড়ু)
এই মন্দিরটি সপ্তম শতাব্দীতে ভগবান গণেশের পাথর কাটা মূর্তি স্থাপিত হয়। এটি তামিলনাড়ু অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির। তবে এখানে গণেশের মূর্তিটিতে চার হাতের সাধারণ চিত্রের সঙ্গে একেবারেই আলাদা। এই মন্দিরের মূর্তির মাত্র ২টি হাতই রয়েছে।
মতি ডুংরি (জয়পুর, রাজস্থান)
চারশো বছরেরও বেশি পুরনো। জয়পুরের মতি ডুংরি পাহাড়ের গোড়ায় নির্মিত এই মন্দিরটি রাজস্থানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সারা বছর ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে।
ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির (রণথাম্বর, রাজস্থান)
হাজার বছরের পুরনো রণখাম্বোর দূর্গের উপর অবস্থিত। এই মন্দিরটি একি স্ব-নির্মিত গণেশ ভাস্কর্য রয়েছে। যেখানে তিনটি চোখ অঙ্কন করা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Ganesh Chaturthi 2021: বাড়িতে গণেশ পুজো কীভাবে করবেন, জানুন পুজোবিধি ও ভোগ নিবেদনের পদ্ধতি