Ganesh Chaturthi 2021: বাড়িতে গণেশ পুজো কীভাবে করবেন, জানুন পুজোবিধি ও ভোগ নিবেদনের পদ্ধতি
গণেশ চতুর্থীর দশম দিনে, অনন্ত চতুর্দশী পালন করা হয়, এটি সেই দিন যখন ভক্তরা গান করেন, নৃত্য করেন এবং ভগবান গণেশকে বিদায় জানাতে একত্রিত হন।
উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো মানেই প্রথমে গণেশ আরাধনার মাধ্যমে সমস্ত উৎসব উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে। গণপতি বাপ্পা মোরিয়ার জয়ধ্বনি থেকে শুরু করে প্যান্ডেল সাজানো, পূজার স্থান আলোকিত করা থেকে শুরু করে প্রত্যেক বাড়িতে মোদক ও মিষ্টি তৈরী করার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
এই বছর গণেশ চতুর্থী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে গণেশ পুজোর সূচনা হবে ও ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাট এবং উত্তর প্রদেশে এই ১০ দিনের উৎসব পালিত হয়। তাৎপর্য এবং মুহুর্ত অনুসারে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এই ১০ দিনে ভগবান গণেশ মর্ত্যে পদার্পন করেন এবং তাঁর ভক্তদের জন্য সুখ, প্রজ্ঞা এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। গণেশ চতুর্থী ভগবান গণেশের জন্মবার্ষিকী হিসেবেও পালিত হয়, যা ভাদ্র মাসে হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে পালিত হয়।
শুভ তিথি
১০ সেপ্টেম্বর বেলৈ ১২.১৭ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুভ মহরত শুরু হবে। প্রকৃতপক্ষে, পূজা শুরু করার সেরা সময় সকাল ১১.০৩ মিনিট থেকে বেলা ১.৩৩ মিনিট পর্যন্ত।
পূজা বিধি
ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে এই উৎসব উদযাপনের একটি অনন্য উপায় রয়েছে। তবে মৌলিক আচার-অনুষ্ঠান প্রায় একই রকম থাকে। যেমন পূজার স্থান পরিষ্কার করা, মন্দির বা উপাসনালয়কে ফুল ও বাতি দিয়ে সাজানো, ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করা, কিছু সুস্বাদু ভোগ প্রস্তুত করা এবং স্তোত্র গাওয়া এবং আরতি করা সহজ কিছু উপায় সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ কামনা করে।
কীভাবে প্রতিমা স্থাপন করবেন
ভক্তরা উপাসনালয় পরিষ্কার করে সুন্দর করে সাজান, যার পরে লাল কাপড়ে ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করা হয়। তারপর প্রতিমার সামনে একটি জলের পাত্র, নারকেল, এলাচ, ‘পঞ্চামৃত’, ‘রোলি’, ‘অক্ষত’, এবং ‘লাউং’ পুজো-আচারের জন্য সুন্দরভাবে সাজানো হয়। তাছাড়া এই পূজার অন্যান্য সামগ্রি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ‘সুপারি’, ‘কালভাজনেও’, ‘চণ্ডী কা ওয়ার্ক’, ‘ঘি’, ‘কাপুর’, ‘পঞ্চমেভা’, ‘গঙ্গাজল’, ‘চৌকি’ এবং হলদি এবং কুমকুম টিক্কা।
গণেশ চতুর্থীর জন্য প্রসাদ
গণেশ যে পেটুক অর্থাত্ ভাল ভাল খাবারের প্রতি তাঁর যে ভালবাসা রয়েছে, তা বহু পৌরাণিক গ্রন্থেও উল্লেখ আছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, গণপতি মোদক এবং লাডু পছন্দ করতেন, এই কারণেই এই উৎসবে মোদক ও লাড্ডু ছাড়া অসম্পূর্ণ। আরও বেশ কিছু মিষ্টি খাবার রয়েছে যা দেবতাকে ভোগ হিসেবে প্রস্তুত করা হয় এবং যেমন খড়বাস, শ্রীখণ্ড, বসুন্দি, খির, রাবড়ি, হালওয়া।
গণেশ বিসর্জন
গণেশ চতুর্থীর দশম দিনে, অনন্ত চতুর্দশী পালন করা হয়, এটি সেই দিন যখন ভক্তরা গান করেন, নৃত্য করেন এবং ভগবান গণেশকে বিদায় জানাতে একত্রিত হন। ভক্তরা জড়ো হযন এবং গণেশ বিসর্জনের জন্য বিশাল মিছিল করে তাঁকে নিরঞ্জন করেন।
আরও পড়ুন: Ganesh Chaturthi: গণেশের কুষ্ঠিতে ছিল শনির দশা! গণপতি সম্পর্কে এমন বহু অজানা তথ্য জেনে নিন