Panchak 2023: আজ থেকে শুরু হচ্ছে চোর পঞ্চক কাল! আগামী ৪ দিন এই কাজ করলেই আসবে ভয়ঙ্কর বিপদ

Inauspicious Things: পঞ্চক সময়কে একটি অশুভ নক্ষত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পঞ্চক কালে পাঁচদিন ভুল করেও কোনও শুভ কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Panchak 2023: আজ থেকে শুরু হচ্ছে চোর পঞ্চক কাল! আগামী ৪ দিন এই কাজ করলেই আসবে ভয়ঙ্কর বিপদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2023 | 9:30 PM

হিন্দু ধর্মে, যে কোনও শুভ বা শুভ কাজ সর্বদা শুভ সময় পালন করার পরে করা হয় কারণ শুভ সময়ে করা কাজ শুভ ফল দেয়। অন্যদিকে কোনও কাজ যদি অশুভ সময়ে করা হয় তাহলে তার খারাপ প্রভাব পড়বেই। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, আজ অর্থাৎ ৯ জুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চককাল। পঞ্চক সময়কে একটি অশুভ নক্ষত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পঞ্চক কালে পাঁচদিন ভুল করেও কোনও শুভ কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।। অন্যদিকে, পঞ্চক কালে যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়,তাহলে বেশি কিছু বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত।

পঞ্চককাল কী?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চন্দ্র যখন ধনীষ্ঠ নক্ষত্র, পূর্বাভাদ্রপদ, শতভীষা নক্ষত্র, উত্তরভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন তাকে পঞ্চক কাল বলা হয়। জ্যোতিষমতে, সাধারণত, পঞ্চক কালকে অশুভ নক্ষত্র বলা হয়। আপাতত পাঁচদিনের জন্য শুভ কাজ নিষিদ্ধ করা হয়।

পঞ্চক কালে কোনও ব্যক্তি মারা গেলে কী করবেন

কথিত আছে, পঞ্চক কালে একজনের মৃত্যু হলে ৫ দিনের মধ্যে ৫ জন মারা যায়। এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে এর অশুভ প্রভাব এড়াতে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। কিছু প্রতিকার রয়েছে যা পঞ্চক সময়ে মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত। তাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা পঞ্চকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিকার হোন না।

পঞ্চক সময়কালে মৃত্যু ঘটলে ৫ দিন পর্যন্ত শেষকৃত্য করা হয় না। কিন্তু ৫ দিন লাশ রাখা সম্ভব হয় না তাই লাশে অগ্নিদানের সময় ৫টি ময়দার পুতুল তৈরি করা হয়। তারপর চিতার সাথে এই মূর্তিগুলোও দাহ করতে হবে। যাতে পঞ্চক কালের কারণে যে সংকট আসে তা এড়ানো যায়।

এছাড়াও, মৃতদেহের শেষকৃত্যের সময় ময়দার তৈরি পাঁচটি মূর্তিও সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা সঙ্গে দাহ করা হয়। এতে করে পঞ্চক দোষের প্রভাব হ্রাস পায়।

পঞ্চক সময়কালে কেউ মারা গেলে পরিবারের সদস্যদের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য শেষ আচারের পরে দশম দিনে ধনীষ্ঠ পঞ্চক শান্তি পূজা করা হয়। আবার ১৪তম দিন পর্যন্তও চলতে থাকে।

এছাড়া মৃত্যুর পর যে সব নিয়ম-কানুন পালন করা হয়, প্রতি মাসে পরিবারের সদস্যদের প্রতি এক বছর রুদ্রাভিষেক করা উচিত। এতে পঞ্চকের খারাপ প্রভাব দূর হয় ও পরিবারে শান্তি বজায় থাকে।