Durga Puja 2023: দশমীর দিন ‘সোনা’র পাতা সংগ্রহ করাই রীতি! শিল্পনগরীতে দেবী বন্দনা ও রীতি কেমন হয়, জানুন

Maharashtra: বাংলার পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ ভারতে বেশ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করা হয়। তবে বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো যেমন পাঁচদিন ধরে পালিত হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় বিজয়াদশমী বা দশেরার দিন বিশেষ রীতির মেনে পালন করা হয়। সেখানে বিশেষ করে রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাস করার নানান পদ্ধতি করা হয়।

Durga Puja 2023: দশমীর দিন 'সোনা'র পাতা সংগ্রহ করাই রীতি! শিল্পনগরীতে দেবী বন্দনা ও রীতি কেমন হয়, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2023 | 3:05 PM

বাংলায় দেবী দুর্গার আরাধনা বিশেষ হলেও দেশের অন্য প্রান্তেও দুর্গার বন্দনাও হয় বেশ ধুমধাম করে। বাংলার পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ ভারতে বেশ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করা হয়। তবে বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো যেমন পাঁচদিন ধরে পালিত হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় বিজয়াদশমী বা দশেরার দিন বিশেষ রীতির মেনে পালন করা হয়। সেখানে বিশেষ করে রাবণের কুশপুতুল পোড়ানোর মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাস করার নানান পদ্ধতি করা হয়।

তবে বাংলার মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে নবরাত্রি পালিত হয় দুর্গার আরাধনার মাধ্যমেই। আদিশক্তির নানা রূপকে বিশেষ রীতিতে মর্ত্যে পূজিত হন। কখনও লক্ষ্মী রূপে, কখনও সরস্বতী রূপে আবার কখনও আবার কালিকা রূপেও পুজো করা হয়ে থাকে। আবার নবরাত্রির প্রথম দিনে ঘটস্থাপনার মাধ্যমে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মহারাষ্ট্রে নিয়ম মতে, আদ্যাশক্তির তিনটি রূপে পুজো করা হয়। প্রথমম দুদিন কালিকা বা চণ্ডিকা রূপে, পরের তিনদিন ধরে লক্ষ্মী রূপে ও শেষ চারদিনে সরস্বতী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। নবপত্রিকাকে যেমন দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে মানা হয়, তেমনি এই ঘটস্থাপনের মাধ্যমেই দেবী দুর্গাকে প্রতিষ্ঠী করা হয়। এই ঘট ও কৃষিকাজের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, ঘটের চারপাশে কাদামাটিতে শস্যদানা রোপণ করা গ। তারপর ঘটের উপর মাটি দিয়ে সেখানে জোয়ার, গম বা বাজরার বীজ বপন করা হয়। সেই বীজ নয়দিন ধরে নতুনগাছে পরিণত হওয়া পর্যন্ত বাড়ির মহিলারা লালন-পালন করে থাকেন। মহাষ্টমীর দিনে এখানে দেবী দুর্গার সামনে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। বিশেষ যজ্ঞের মাধ্যমে অগ্নিকে স্মরণ করা হয়।

এখানেই শেষ নয়, মহানবমীর দিন ঘটের চারপাশে গম বা জোয়ারের বীজ অঙ্কুরিত হলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। এই অঙ্কুরিত শস্য দেবীর প্রসাদ বা আশীর্বাদ হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া দশমদিনে বাড়ির বড়রা বা পুরুষ যাঁরা আছেন, তাঁরা জঙ্গলে সোনার পাতা সংগ্রহ করতে যান। এটি একটি প্রতীকী রীতি। ক্ষেত বা জঙ্গলে আপ্তা নামে একপ্রকার উদ্ভিদ জন্মায়। সেই গাছের পাতা সংগ্রহ করার রীতি রয়েছে। আধ্যাত্মিক চেতনার মূল্ হিসেবে এই গাছের পাতাকে সোনা বলেই মনে করা হয়। এটি একটি লোক সংস্কৃতি। বিজয়াদশমীর দিন পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে মিষ্টিমুখ ও খাওয়াদাওয়ার চল রয়েছে। এই পাতা সংগ্রহকে দেবীর আশিষ হিসেবে প্রদান করা হয়। মহারাষ্ট্রে প্রচুর বাঙালি মতে দুর্গা পুজো পালন হলেও, ঐতিহ্যগত দিক থেকে এই রাজ্যে দুর্গাপুজোর রীতি মানা হয় অন্যভাবে।