Sankashti Chaturthi 2022: আজ সংকষ্টি চতুর্থী, সব ইচ্ছে পূরণ করতে গণেশ আরাধনার গুরুত্ব কী?

Vinayaka Chaturthi: শাস্ত্রমতে, গণেশের পুজো করলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। কারণ এই লগ্ন খুবই শুভ।

Sankashti Chaturthi 2022: আজ সংকষ্টি চতুর্থী, সব ইচ্ছে পূরণ করতে গণেশ আরাধনার গুরুত্ব কী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 9:32 AM

সব সংকট দূর করতে হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ফাল্গ‌ুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে পালিত হয় দ্বিজপ্রিয়া সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi 2022) । বুধবার, ৪ মে গণেশ ভক্তরা অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে গণেশ আরাধনা (Ganesh Puja) করে থাকেন। মনের সব ইচ্ছা পূরণ করার জন্য সারা দিন উপবাস (Fasting) পালন করেন তাঁরা। সন্ধ্যায় সেই ব্রত ভঙ্গ করে পুজো করেন। মাসিক আচার অনুষ্ঠান হওয়ায় গণেশ পুজোর শুভ দিনটি মাসিক বিনায়ক চতুর্থী হিসেবে পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসে প্রধান বিনায়ক চতুর্থী ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসের পূর্ণিমার চার দিন পরে সংকষ্টী চতুর্থী পালন করা হয়। প্রতি মাসের সংকষ্টী চতুর্থীর আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। ফাল্গ‌ুন মাসের সংকষ্টী চতুর্থীকে বলা হয় দ্বিজপ্রিয়া সংকষ্টী চতুর্থী। এই তিথিটি মঙ্গলবারে পড়লে তাকে বলা হয় অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থী। সকল সংকষ্টী চতুর্থী তিথির মধ্যে অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থীকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।

তিথি ও শুভ মুহুর্ত

চতুর্থীর তারিখ- ৪ মে, ২০২২ তিথি শুরু- সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে। তিথি শেষ- ৫ মে, সকাল ১০টায়।

আচার-অনুষ্ঠান

মনের সব বাসনা পূরণ হয় বলে অনেকে এই দিন উপবাস রাখেন। তবে এই ব্রতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আচার বা রীতি রয়েছে। সেগুলি কীভাবে করবেন, তা জেনে নিন…

– খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিস্কার ও নতুন জামাকাপড় পরতে হবে।

– ভগবান গণেশকে স্নান করিয়ে পরিস্কার ও নতুন জামা পরান।

– এরপর তিলক পরিয়ে ফুল, দূর্বা, ধূপকাঠি, ফল ও মোদক দিয়ে ভোগ নিবেদন করতে হবে।

– গণেশ মন্ত্র পাঠ করে আরতি করুন। তারপর পুজো রৃকরুন।

উপবাসের নিয়ম

– ধর্মীয়ভাবে উপবাস পালন করলে তবেই মিলবে সংকটমোচনের দিশা।

– এই দিন মদ বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

– ফল, দুধ ও ব্রতের জন্য খাবার খান এইদিন।

– সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।

– গণেশ পুজো করার সময় তুলসী পাতা ব্যবহার একেবারেই করবেন না।

তাত্‍পর্য

গণেশকে বিঘ্ননাশকারী, শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক এবং বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজা করা হয়। বিভিন্ন শুভকার্য, উৎসব ও অনুষ্ঠানের শুরুতেও তার পূজা প্রচলিত আছে। অক্ষর ও জ্ঞানের দেবতা রূপে লেখার শুরুতেও গণেশকে আবাহন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে গণেশ-সংক্রান্ত একাধিক পৌরাণিক উপাখ্যান পাওয়া যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, গণপতির আরাধনায় সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজোর আগে গণেশের নাম উচ্চারণ করে পুজো হয়। শাস্ত্রমতে, গণেশের পুজো করলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। কারণ এই লগ্ন খুবই শুভ।

আরও পড়ুন: Astrology Special: প্রতিভাধর সন্তান পেতে ‘বিশেষ’ নিয়ম মেনে চলুন গর্ভবতী মহিলারা! কী সেই নিয়ম, জানুন…