Sheetala Saptami 2022: সামনেই শীতলা সপ্তমী, জানুন পুজোর শুভক্ষণ, গুরত্ব ও উপবাসের নিয়ম
Sheetala Ashtami: শীতলা সপ্তমীর দিন বাড়িতে বাড়িতে নানা পদের রান্না তৈরি করা হয়। হালুয়া, লুচি, দইবড়া, পুই রাবড়ির মত লোভনীয় নিরামিষ খাবার।
প্রতি বছর চৈত্র কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিকে শীতলা পুজো (Sheetala Puja) করা হয়। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, এই পুজোয় বাসি খাবার নৈবেদ্য হিসেবে পরিবেশন করা হয়। শুধুমাত্র শীতলা সপ্তমী (Sheetala Saptami ) বা অষ্টমীর দিনই মহিলারা নিয়ম মেনে দেবী শীতলার পুজো করেন। হিন্দুদের বিশ্বাস, শীতলার আরাধনায় ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি ও শস্যে ফলন বৃদ্ধি হয়। এছাড়া বসন্তের মত ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এই একমাত্র পুজো, যেখানে ওই দিন বাড়িতে কোনও রকম তাজা রান্না বা খাবার তৈরি করা হয় না। আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার অবতার হিসাবে, তিনি পক্স, ঘা, ব্রণ, ফুস্কুড়ি প্রভৃতি রোগ নিরাময় করেন এবং পিশাচ এর হাত থেকেও রক্ষা করেন। সাধারণত, শীতলা দেবীর বাহন গাধা বা গর্ধব। প্রচলিত মূর্তিতে শীতলা দেবীর এক হাতে জলের কলস ও অন্য হাতে ঝাড়ু দেখতে পাওয় যায়। ভক্তদের বিশ্বাস কলস থেকে তিনি আরোগ্য সূধা দান করেন এবং ঝাড়ু দ্বারা রোগাক্রান্তদের কষ্ট লাঘব করেন।
শীতলা পুজোর শুভক্ষণ
সপ্তমী তিথি শুরু হচ্ছে- আগামী ২৪ মার্চ, ভোররাত ২টা ১৬ মিনিট থেকে তিথি সমাপ্ত হবে-২৫ মার্চ , রাত ১২টা ৯ মিনিটে।
শীতলা পুজোর দিন কী কী করা উচিত
শীতলা সপ্তমীর দিন বাড়িতে বাড়িতে নানা পদের রান্না তৈরি করা হয়। হালুয়া, লুচি, দইবড়া, পুই রাবড়ির মত লোভনীয় নিরামিষ খাবার। তবে পরের দিন মহিলারা দেবী শীতলার কাছে সেই খাবারগুলি নৈবেদ্য হিসেবে পরিবেশন করেন। এতে মনে করা হয়, পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এদিন শীতলা-সহ বাড়ির সদস্যরাও বাসি খাবার ভোগ হিসেবে খেয়ে থাকেন। এই কারণে এই পুজোকে বাসোদা উত্সবও বলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনের পরে কোনও পাত্রের মধ্যে রান্না করা খাবার খাওয়া ঠিক নয়।
এই দিনটি আবার ঋতু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দেয়। ঋতুর শেষ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পুজো করলে দেবী শীতলা প্রসন্ন হোন। হিন্দুদের বিশ্বাস, তার আশীর্বাদেই শিশুরা জ্বর, ফোঁড়া, শীতলা ফুসকুড়ি, হাম, বসন্তের মত রোগ থেকে মুক্তি পায়।
শীতলা পুজোর কিছু বিশেষ নিয়ম
– শীতলা সপ্তমীর দিনে গরম গরম রান্না করা খাবার খাওয়া হন না।
– পাশাপাশি ঘরে কোনও উনুন বা আভেন জ্বালানোও হয় না। একদিন রাতেই সব পুজোর ভোগ রান্না করা হয়।
– জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই দিনে গরম জলে স্নান করাও নিষিদ্ধ। শীতলাকে সন্তুষ্ট করতে সপ্তমীর দিনে ঠান্ডা জলে স্নান করে পরিস্কার হওয়ারই নিয়ম রয়েছে।
আরও পড়ুন: Sankashti Chaturthi 2022: আজ সংকষ্টি চতুর্থী, সব ইচ্ছে পূরণ করতে গণেশ আরাধনার গুরুত্ব কী?