Gold Loan নিলে কতটা প্রভাব পড়ে আপনার ক্রেডিট স্কোরে?
Gold Loan: অন্যান্য ঋণের থেকে গোল্ড লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব পড়ে অনেক বেশি।
প্রয়োজনের সময় পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে সাধারণত মানুষ ঋণ নিয়ে থাকেন। ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ নেওয়ার পর, সেই ঋণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোধ দিয়ে দেওয়াটাও দায়িত্বের মধ্য়ে পড়ে। ঠিক সময়ে ঋণ শোধ না দিলে কোপ পড়ে গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোরে। একজন গ্রাহক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা দায়িত্বশীল, সেটাই দেখা হয় এই ক্রেডিট স্কোরের মাধ্যমে। অনেকেই জানেন না গোল্ড লোনের কতটা প্রভাব পড়তে পারে ক্রেডিট স্কোরে। সোনার গয়না জমা রেখে ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়, সেটাই হল গোল্ড লোন।
গোল্ড লোনের জন্য আবেদন পড়লেই প্রভাবিত হয় ক্রেডিট স্কোর
কোনও গ্রাহক যদি গোল্ড লোনের জন্য আবেদন করেন, তাহলে নেমে যেতে পারে ক্রেডিট স্কোর। গোল্ড লোনের জন্য কোনও ব্যাঙ্কে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর খতিয়ে দেখে। সেটা দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আবেদন মঞ্জুর করা হবে কি না। আর সেই বিষয়টাকে বলা হয় ‘হার্ড এনকোয়ারি’। গ্রাহকের ক্রেডিট রিপোর্টে সেই ‘হার্ড এনকোয়ারি’র কথা উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ কোন গ্রাহকের কতবার ‘হার্ড এনকোয়ারি’ হয়েছে, সেটা বোঝা যায় ক্রেডিট স্কোর দেখে।
যদি দেখা যায় খুব কম সময়ের ব্যবধানে একজন গ্রাহকের একাধিকবার ‘হার্ড এনকোয়ারি’ হয়েছে, তাহলে তার প্রভাব পড়ে ক্রেডিট স্কোরে। মনে করা হয়, ওই গ্রাহক প্রয়োজনের থেকে বেশি ঋণ নিতে চাইছেন অথবা গ্রাহকের ঋণের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। এর মধ্যে কোনওটাই ক্রেডিট স্কোরের জন্য খুব একটা ভাল নয়।
ঠিক সময়ে শোধ করলে বাড়ে স্কোর
ঋণের জন্য আবেদন করলে একদিকে যেমন স্কোর কমে যায়, তেমন ভাবেই ঠিক সময়ে ঋণ শোধ করলে গ্রাহকের স্কোর বেড়ে যায়। গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে সময়ে ইএমআই শোধ করলে ধরে নেওয়া হয় গ্রাহক অত্যন্ত দায়িত্বশীল। সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি পরবর্তীকে দ্রুত ঋণের আবেদন মঞ্জুর করে। শুধু তাই নয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সুদের হারে ছাড়ও দেওয়া হয়। তাই গোল্ড লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের সচেতন থাকা জরুরি।