ICC World Cup 2023: হাওড়ার ভাঙাচোরা টালির বাড়ি থেকে বিশ্বকাপে বাংলার ছেলে অতনু
New Zealand: দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। এ বার নিউজিল্যান্ড শিবিরে ডাক পেলেন অতনু। বিশ্বকাপ চলাকালীন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে বাংলার ছেলেকে। অতনুর উন্নতিতে পরিবারও আর্থিক ভাবে এখন স্বচ্ছল হয়েছে। ঘুষুরির ভাড়া বাড়ি ছেড়ে এখন অন্যত্র চলে গিয়েছে অতনু আর তার পরিবার।
কলকাতা: বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশবাসী প্রস্তুত বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের জন্য গলা ফাটাতে। এ সবের মাঝে বাংলার এক ছেলে ব্যস্ত থাকবেন নিউজিল্যান্ড টিম নিয়ে। টম লাথাম, কেন উইলিয়ামসনদের শিবিরে ঢুপে পড়েছেন বাংলার অতনু ঘোষ (Atanu Ghosh)। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের সঙ্গে মাসাজ থেরাপিস্ট হিসেবে নিযুক্ত হলেন হাওড়ার অতনু। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন তিন বছর ধরে। তার আগে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অতনুর উত্থান সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। সফল ম্যাসিওর হয়ে ওঠার পিছনে আরও একজনের অবদান রয়েছছন। তিনি বাংলার বর্তমান দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যিনি না থাকলে হয়তো হাওড়ার ঘুষুরির ভাঙা টালির বাড়ি থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখা হত না অতনুর। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা অতনুর। ঘুষুরিতে ভাড়া বাড়িতে থাকত তাঁর পরিবার। অতনুর বাবা কাজ করতেন স্থানীয় এক মিষ্টির দোকানে। মা পরিচারিকার কাজ করতেন। কী ভাবে সেখান থেকে উঠে এলেন অতনু? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, লক্ষ্মীরতন শুক্লার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন অতনুর মা। সেই সূত্রেই একদিন লক্ষ্মীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় অতনুর। টুকটাক মাসাজ দেওয়ার কাজ করতেন। সেই করতে করতেই বেড়ে ওঠা। লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে ম্যাসিওরের কোর্স করান। অতনুকে কর্ণাটকের রঞ্জি ক্রিকেট দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেন লক্ষ্মীরতনই। ২০১৪ সাল থেকে কেএল রাহুলদের শিবিরে কাজ করতে করতেই মেলে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডাক। ভারতের যুব দলের সঙ্গে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টেও কাজ করার সুযোগ পান। ২০২০ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পোর্টস মাসাজ থেরাপিস্ট হিসেবে যুক্ত। লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটেও কাজ করেছেন এর মাঝে।
দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। এ বার নিউজিল্যান্ড শিবিরে ডাক পেলেন অতনু। বিশ্বকাপ চলাকালীন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে বাংলার ছেলেকে। অতনুর উন্নতিতে পরিবারও আর্থিক ভাবে এখন স্বচ্ছল হয়েছে। ঘুষুরির ভাড়া বাড়ি ছেড়ে এখন অন্যত্র চলে গিয়েছে অতনু আর তার পরিবার। নিঃশব্দেই অন্ধকার থেকে অতনুকে আলোয় ফেরানোর কাজ করেছিলেন লক্ষ্মীরতন। বাংলার ছেলের হাত ধরেই বিশ্বকাপে তরতাজা হয়ে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড।