The Oval Test Records: ওভালে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জার রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার!
WTC Final 2023 : ইংল্যান্ডের দ্য ওভাল হল একটি ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। এই মাঠে এমন অনেক রেকর্ড হয়েছে যা আজ পর্যন্ত কেউ বা কোনও দল ভাঙতে পারেনি। সেখানেই আজ, বুধবার থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল।
লন্ডন: কেনিংটনের দ্য ওভাল হল লন্ডনের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ধারণক্ষমতা ২৭ হাজার ৫০০ জন দর্শক। স্টেডিয়ামটির নির্মাণ হয়েছিল ১৮৪৫ সালে। ১৮৮০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই স্টেডিয়ামে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়। ম্যাচটি ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। এই স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল আয়োজন করা হয়। ফুটবল, হকি, রাগবি এবং এফএ কাপের ফাইনালও খেলা হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। সারে ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত ওভালে প্রথম ডবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার বিলি মারডাচ। ১৮৮২ সালের সেই টেস্টে ইংল্যান্ড দল ৭ রানে পরাজিত হয়। এরপর ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস’ নামে একটি ইংলিশ সংবাদপত্র লেখে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের মৃত্যুর কথা। এখান থেকেই শুরু হয় অ্যাসেজ। ওভালে প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ৩৪৩। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ইনিংসের স্কোর হল ৩০৪, ২৩৮ এবং ১৫৬। এখানে আয়োজিত হচ্ছে ২০২১-২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ওভালের টেস্ট রেকর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
সর্বাধিক স্কোর: ইংল্যান্ড ১৯৩৮ সালে ওভালের মাটিতে সবচেয়ে বড় স্কোর গড়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯০৩ রান করে ইংল্যান্ড। লিওনার্ড হাটন এই ইনিংসে ৩৬৪ রান করেন। মরিস লেল্যান্ড ও জো হার্ডস্টাফ সেঞ্চুরি হাঁকান। ইংল্যান্ড সেই ম্যাচ ইনিংস ও ৫৭৯ রানে জিতে যায়।
সর্বনিম্ন স্কোর: ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ওভালের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোর গড়েছিল। মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে যায় পুরো দল। ১১১ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ববি পিল ও জ্যাক হার্ন নেন ৬ ও ৪টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়া দল ম্যাচে ৬৬ রানে হেরে যায়।
সর্বাধিক রান: লিওনার্ড হাটন এই মাঠে সর্বোচ্চ ১৫২১ রান করেছেন। হাটনের গড় ৮৯.৪৭। ৪টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
সর্বাধিক উইকেট: ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের এই মাঠে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে। তিনি ১১টি টেস্ট ম্যাচে ২৬.৫১ গড়ে মোট ৫২টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনমি ৩.৬১। বোথামের তিনবার ৪টি উইকেট এবং দু’বার ৫ উইকেট এবং একবার ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে।
ব্যাটারের সর্বাধিক স্কোর: লিওনার্ড হাটন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ স্কোর ৩৬৪ রান করেন। হাটনের ইনিংসের সুবাদে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে পরাজিত করে।
সেরা বোলিং পরিসংখ্যান: ইংল্যান্ডের বোলার ডেভন ম্যালকমের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান রয়েছে। এই বোলার ১৯৯৪ সালে ৫৭ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। সে বার ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাকে 8 উইকেটে হারিয়েছিল।
সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ: এই মাঠে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিল পন্সফোর্ড এবং স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের নামে। ১৯৩৪ সালে প্রথম ব্যাটার ২৬৬ রান করেন এবং দ্বিতীয় ব্যাটার ৩৪৪ রান করেন। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৭০১ রান। এই জুটির বিশাল রানের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া ৫৬২ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে।