India vs West Indies: রবিবারের ইডেনে দর্শক প্রবেশে কিছুটা ছাড়
কোভিডের কারণে শুরুতে বোর্ড জানিয়েছিল, ইডেনে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনও ভাবেই দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। সেই কারণে দর্শক প্রবেশে মিলছে ছাড়। সাধারণ দর্শক না হলেও ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে, আসলে 'দর্শক'রাই ভরাতে চলেছেন রবিবারের ইডেন।
কলকাতা: গতকালই বোর্ড সভাপতি আশ্বাস দিয়েছিলেন রবিবারের ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) দর্শক প্রবেশে কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে। ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মিলল বোর্ডের গ্রিন সিগনাল। রবিবার ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) টি-২০ (T20) সিরিজের শেষ ম্যাচে ইডেনে থাকবে কমবেশি ৩০ হাজার দর্শক। সাধারণ দর্শকের জন্য অবশ্য খুলছে না ইডেন। একমাত্র সিএবির সদস্যরাই পাবেন রোহিত, বিরাটদের ম্যাচ দেখার সুবর্ণ সুযোগ। কোভিডের কারণে শুরুতে বোর্ড জানিয়েছিল, ইডেনে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনও ভাবেই দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। সেই কারণে দর্শক প্রবেশে মিলছে ছাড়। সাধারণ দর্শক না হলেও ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে, আসলে ‘দর্শক’রাই ভরাতে চলেছেন রবিবারের ইডেন।
সেই করোনার শুরু থেকে বিভিন্ন খেলার গ্যালারি বা স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্রিকেটের হাত ধরেই আবার উপচে পড়েছিল গ্যালারি। কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাবে ফের শূন্য হয়ে যায় স্টেডিয়াম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের আগে ভারতীয় দলে করোনা ঢুকে পড়ায় সতর্কতা বেড়েছিল। আমেদাবাদের ৩টে ওয়ান ডে ম্যাচ দর্শকশূন্য করা হয়। টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রেও জারি রাখা হয়েছিল বিধিনিষেধ। কিন্তু পরিস্থিতি অনেকখানি বদলাতে দেখে বোর্ড দর্শক প্রবেশে খানিকটা ছাড় দিল। কারা এই সিএবির সদস্য? লাইফ মেম্বার, অ্যাসোসিয়েট মেম্বার, অনরারি মেম্বার, এছাড়া সিএবির অনুমোদিত বিভিন্ন ক্লাব এবং তাদের সদস্যরা ম্যাচ দেখার সুযোগ পাবেন।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বললেন, ‘দর্শক প্রবেশে ছাড় মেলায় অবশ্যই আমরা খুব খুশি। অনেক চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে বোর্ডের সম্মতি মিলল। তবে এই পরিস্থিতিতে আমরা সাধারণ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিতে পারছি না। সিএবির সদস্য এবং অনুমোদিত ক্লাবগুলোর যাঁরা সদস্য, তাঁরাই রবিবার ইডেনে ঢুকতে পারবেন। সংখ্যাটা ২৫-২৮ হাজারের মধ্যে হবে।’
ইডেনের গ্যালারির দর্শক সংখ্যা এখন ৬৮ হাজার। ২৫ থেকে ২৮ হাজার যদি রবিবার ইডেনে হাজির থাকেন তাহলে বলতে হবে, প্রায় অর্ধেক ইডেন ভরে যাবে। এই দর্শকরা অবশ্য গ্যালারির আপার টিয়ারে শুধু বসবেন। প্রশ্ন তবু থাকছে। জৈব সুরক্ষার বিধিনিষেধ কিন্তু মেনে চলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। করোনা যে এখনও পিছু ছাড়েনি, বোর্ড খুব ভালো করে জানে। লোয়ার টিয়ার ফাঁকা রাখার যুক্তি, চার বা ছয়ের ক্ষেত্রে যাতে বল গিয়ে দর্শকদের কাছে না পৌঁছয়। প্রশ্ন হল, আপার টিয়ারে কি ছয় পৌঁছয় না? যদি তাই হয়, কোভিডবিধি কি থাকবে? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সিএবি বা বোর্ড দিচ্ছে না।