Asia Cup 2023: নিমন্ত্রণ পেলেও পাক সফরে যাবেন না কেন বোর্ডের কর্তারা?

Asia Cup 2023: পাকিস্তানের ডাকে কি সত্যিই ওই দেশে যাচ্ছেন রজার বিনি ও রাজীব শুক্লা? বিসিসিআইয়ের দুই কর্তার পাক সফর নিয়ে যতই হইচই হোক, সে সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছেন বোর্ডের এক কর্তাই।

Asia Cup 2023: নিমন্ত্রণ পেলেও পাক সফরে যাবেন না কেন বোর্ডের কর্তারা?
নিমন্ত্রণ পেলেও পাক সফরে যাবেন না কেন বোর্ডের কর্তারা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2023 | 5:45 PM

নয়াদিল্লি: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) উদ্বোধনে নেমন্ত্রণ করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে বিসিসিআইয়ের কর্তাদের এই নিয়মন্ত্রণ পাকিস্তান বোর্ডের (PCB) নিয়মমাফিক। কিন্তু এই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেন রজার বিনি ও রাজীব শুক্লা, এমনও বলা হচ্ছিল। পরিস্থিতি যা, তাতে তেমন কোনও সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে না। এমনকি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জয় শাহরও পাকিস্তান যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ৩০ অগস্ট মূলতানে এশিয়া কাপের উদ্বোধন। নেপালের বিরুদ্ধে ওই দিন প্রথম ম্যাচ খেলবে বাবর আজমের (Babar Azam) টিম। কেন ওয়াঘার ওপারে যাবেন না বোর্ডের কর্তারা? TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

২ সেপ্টেম্বর ক্যান্ডিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের হাজির থাকার কথা। শোনা গিয়েছিল, গর্ভনর হাউস থেকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল সস্ত্রীক রজার বিনি, রাজীব শুক্লাকে। ৪ সেপ্টেম্বর তাঁরা সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে হাজির থাকবেন, এমনও বলা হয়েছিল। যা বাস্তবায়িত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই কার্যত নেই। কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া বোর্ডের কোনও কর্তাই পাকিস্তানে যেতে পারবেন না। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলছেন, ‘পিসিবির তরফে আমাদের এশিয়া কাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কেউই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না। শুধু প্লেয়াররাই নয়, কর্তাদেরও ভারত সরকারের অনুমতি নিতে হবে পাকিস্তান যেতে হলে। আমরা কোনও ছাড়পত্র পাইনি।’

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক গত এক দশক ধরে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। যে কারণে দীর্ঘদিন দুই দেশের মধ্যে কোনও ক্রিকেট সফরও হয়নি। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টগুলোতেই শুধু দুই দেশকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যায়। এ বারও তা যাবে। পিসিবির তরফে এই নিমন্ত্রণ যে ক্রিকেট সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের খানিক চেষ্টা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ক্রিকেট এখানে শেষ কথা নয়। দুই দেশের সরকার ভীষণ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট সম্পর্কের মধ্যে। যে কারণে কেউ চাইলেও ওই দেশে পা দিতে পারবেন না। সেই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কিংবা ভাইস প্রেসিডেন্টের পক্ষে নিমন্ত্রণরক্ষা করা যে সম্ভব নয়, তাতে আর সন্দেহ কী!