করোনা আক্রান্ত বাবাকে বাঁচাতে লড়ছেন সাকারিয়া
আইপিএল (IPL) অভিষেকেই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন চেতন সাকারিয়া।
গুজরাত: চেতন সাকারিয়া (Chetan Sakariya)। আইপিএল (IPL) চোদ্দর অন্যতম আবিষ্কার। অভিষেকেই চমকে দিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বাঁ-হাতি পেসার। ২২ গজে শোরগোল ফেলে দেওয়া সৌরাষ্ট্রের ২৩ বছরের ছেলের জীবনকাহিনি অবশ্য বিষাদেই ভরা। গুজরাতের ভাবনগর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা সাকারিয়ার। আইপিএলের অকশনে ডাক পাওয়ার ১০ দিন আগে আত্মহত্যা করেন তাঁর ভাই। সে সময় সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে খেলছিলেন সাকারিয়া। চেতনকে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর ১০ দিন জানায়নি পরিবার। ১.২ কোটি টাকায় সাকারিয়াকে আইপিএলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
কোভিডের (COVID-19) বাড়বাড়ন্তের কারণে মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। বাড়ি ফিরেই হাসপাতালে ছুটেছেন এই বাঁ-হাতি পেসার। করোনায় সংক্রমিত চেতনের বাবা। ভাবনগরের এক হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে তাঁর। বাবাকে বাঁচাতে হাসপাতালেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাচ্ছেন আইপিএল খেলে আসা চেতন সাকারিয়া। আইপিএলে খেলার সুবাদে বাবার চিকিত্সায় কোনও ত্রুটি রাখতে চান না রাজস্থান রয়্যালসের ২৩ বছরের এই বাঁ-হাতি পেসার।
সাকারিয়া বলেন, ‘সবাই বলছে আইপিএল বন্ধ হোক। তাদের উদ্দেশ্যে আমি এটাই বলতে চাই, আইপিএলের জন্যই আজ আমি পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। ক্রিকেটই আমার রোজগারের একমাত্র উপায়। দিন কয়েক আগেই টিম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কিছু টাকা পাই। টাকাটা হাতে পেয়েই সোজা বাবার চিকিত্সার কাজে লাগাই। আইপিএল খেলে যা টাকা পেয়েছি, তার পুরোটা দিয়ে বাবার ভালো চিকিত্সা করাতে চাই। আমি গরীব ঘরের ছেলে। আমার বাবা টেম্পো চালাত। আইপিএলের জন্যই আমার জীবন বদলে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহল্লায় একমাত্র আমিই সবচেয়ে বেশি টাকা উপার্জন করি। আমার মা জানে না, কতগুলো শূন্য জুড়লে এক কোটি হয়। আমার প্রাথমিক লক্ষ্যই হল, বাবাকে সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফিরিয়ে আনা।’
আরও পড়ুন: আগে ভ্যাকসিন, পরে প্রতিযোগিতাঃ সিন্ধু, বজরংদের নির্দেশ অলিম্পিক কমিটির
আইপিএল অভিষেকেই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন চেতন সাকারিয়া। লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট নেন তিনি। এক সপ্তাহ বাদে মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট নেওয়ায় তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়। আইপিএলে ৭ উইকেট নেন চেতন সাকারিয়া।