Ishan Kishan: ‘বল বিকৃতি’ নিয়ে মুখ খোলায় ঈশানকে হুঁশিয়ারি, লজ্জা এড়াতে আসরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া!
IND A vs AUS A: অজিদের সামনে এই আনঅফিসিয়াল টেস্ট জয়ের জন্য ২২৫ রানের টার্গেট ছিল। সেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তুলে ফেলেন নাথানরা। যার ফলে ৭ উইকেটে এই ম্যাচ জিতল অজি-এ টিম।
কলকাতা: সুদূর অজি-ভূমে ভারতের বিরুদ্ধে ‘বল বিকৃতি’-র অভিযোগ! যার ফলে ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার ঈশান কিষাণকে (Ishan Kishan) আম্পায়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর অজি এ টিম ওই আনঅফিসিয়াল টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জেতে। কিন্তু ভারতীয় টিমের বিরুদ্ধে ওঠা ‘বল-বিকৃতি’র অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর আকার ধারন করে। বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বিতর্কের জল অনেক দূর গড়াতে পারে, এমনটা ভেবে আসরে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘটনাটি ঠিক কী?
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরুর আগেই অস্ট্রেলিয়ায় বিতর্কের সূচনা! ভারত এ বনাম অস্ট্রেলিয়া এ দলের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনের শুরুর ঘটনা। ভারতীয় দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় পরিবর্তিত বল। যা দেখেই ঋতুরাজরা বুঝে যান , এই বল দিয়ে আগের দিন খেলা হয়নি। মাঝপথে বল বদল নিয়ে প্রশ্ন করতেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক বাঁধে। কেন বল বদল, জানতে চান ভারতের ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার শন ক্রেগ জানান, বলে আঁচড় ছিল তাই বদল করা হয়েছে, এটা দিয়েই খেলতে হবে। স্টাম্প মাইকে ঈশান কিষাণকে বলতে শোনা যায়, ‘বোকা বোকা সিদ্ধান্ত’। ঈশান বিড়বিড় করছিলেন, বল বিকৃতি করো তোমরা, আর আমাদের এই বল দিয়ে খেলতে হবে! আম্পায়ার তাঁকে সতর্ক করে বলেন, ‘রিপোর্টে রাখছি, শাস্তি হতে পারে।’
আম্পায়ারের জানানো কারণ এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতির মধ্যে অবশ্য অমিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বলের আকার নষ্ট হয়েছিল। সহজ করে বললে, বলের আকৃতি বদলেছে। তাই বল বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়, ঈশানকে তাঁর মন্তব্যের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এই থেকেই নতুন বিতর্ক, তা হলে কি আম্পায়ারের ভুল ঢাকতেই শাস্তি দেওয়া হল না ঈশানকে?
JUST IN: CA release statement after ball drama in ‘A’ Series match #AUSAvINDA https://t.co/wks4vpK4mV
— cricket.com.au (@cricketcomau) November 3, 2024
২০১৭ সালে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় ছিল স্যান্ড-পেপার গেট। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিল স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। সহ অধিনায়ক ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচ চলাকালীন ট্রাউজারের ভেতর থেকে শিরিষ কাগজ বের করে বলের পালিশ তোলেন ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। মাঠে সব মিলিয়ে ২৬টি এইচডি ক্যামেরা ছিল। ব্যানক্রফ্টের কু-কীর্তি জায়ান্ট স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। যা প্রথমে টের পাননি অজি ত্রয়ী। ঘটনা অনেক বড় আকার নেয়। স্টিভ স্মিথ, ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফ্টকে নির্বাসিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরত আনা হয়। কার্যত চোখের জলে অপরাধীর মতো বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল স্মিথকে।
সেই ঘটনার পর ক্রিকেটে ফিরলেও দীর্ঘ সময় ওয়ার্নার-স্মিথকে ‘চিটার’ ধ্বনি শুনতে হয়েছিল। ম্যাকায়তে আম্পায়ার যখন বলে আঁচড় থাকার কথা বলেন, পরোক্ষভাবে ভারতীয় দলকে খোঁচা বল বিকৃতির। যা শুনেই মেজাজ হারান ঈশান। বলে আঁচড় অনিচ্ছাকৃতও হয়। বাউন্ডারির ফেন্সিংয়ে বল লেগে আঁচড় পড়তে পারে। আম্পায়ার সেটা শান্ত ভাবে বোঝালে হয়তো বিতর্কের পরিস্থতি তৈরি হত না।