IPL 2022: ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রংশায় ভরিয়ে দিলেন কিলার মিলার
ঋদ্ধিমান সাহা কেমন টিমমেট? খোদ ডেভিড মিলার জানিয়ে দিলেন। দীর্ঘদিন বাংলার ছেলের সঙ্গে আইপিএল খেলছেন। তাই খুব কাছ থেকে চেনেন ঋদ্ধিকে।
আমেদাবাদ: স্পিনারদের সামলানোর জন্য মানসিকতা পাল্টে ফেলেছেন তিনি। আর তাই সাফল্য এনে দিচ্ছে তাঁকে। এমনই মনে করছে ডেভিড মিলার (David Miller)। ১৫ ম্যাচে ৪৯৯ রান করেছেন এ বারের আইপিএলে (IPL 2022) । ‘কিলার মিলার’ ট্যাগলাইন আবার ফিরিয়ে এনেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৪ করেছেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম কোয়ালিফায়ারে একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans)। এ বারের আইপিএলে যাতে টিমকে সাফল্য দিতে পারেন, তার জন্য নেটে কঠিন পরিশ্রম করেছেন। তারই ফসল পেতে শুরু করেছেন। মিলারের রানের মধ্যে থাকা হার্দিক পান্ডিয়াকেও (Hardik Pandya) অনেকটাই চিন্তামুক্ত করেছে। প্রথম বার আইপিএল খেলতে নেমেই ফাইনালে উঠে পড়ার রসায়ন তাই-ই।
আইপিএল ফাইনালের আগে মিলার বলছেন, ‘স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আমার মরসুমটা ভালো যাচ্ছে। এটা যাতে সাবলীল করতে পারি, তার জন্য প্রচুর খেটেছি। স্পিন আমি খেলতে পারি না, তা নয়। কিন্তু আমার বরাবর মনে হয়েছে, এই একটা জায়গায় আমাকে অনেক উন্নতি করতে হবে। আর সেই কারণেই স্পিন খেলার সময় আমার মানসিকতাটা পাল্টে ফেলেছি। দু-তিনটে জিনিস বদলেছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতি বলেই রান করাটা লক্ষ্য থাকে। খারাপ বল পেলে সেটা থেকে যতটা সম্ভব রান তোলার মতো জায়গায় যাতে থাকি, সেটা নিশ্চিত করেছি। এর ফলে বোলারের উপর কিছুটা চাপও তৈরি করা যায়।’
শুধু কি তাই, টিমের হয়ে প্রতিটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল মিলারের। ১২ বছরে আইপিএল খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। মিলার বলছেন, ‘এই মরসুমে আমি পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করছি। মরসুমের শুরু থেকে সব ক’টা ম্যাচই খেলেছি। টিমে নিয়মিত সুযোগ পাওয়াটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, উপভোগও করছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, রান পেলেও সব সময় পাশে পেয়েছি টিম ম্যানেজমেন্টকে।’
শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, পুরো টিমের পারফরম্যান্সেও উচ্ছ্বসিত মিলার। ‘কখনও রাহুল তেওয়াটিয়া দুরন্ত পারফর্ম করেছে, কখনও বল হাতে চমৎকার পারফর্ম করেছে মহম্মদ সামি। আলাদা করে কাউকে তুলে ধরা যাবে না। দলের সাফল্যে সবার অবদান রয়েছে। যে কারণে আমরা পর পর ম্যাচগুলো জিততে পেরেছি।’
বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান সাহাকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মিলার। তাঁর কথায়, ‘ও টিমের শক্তিশালী স্তম্ভ। ওর সঙ্গে এর আগে বেশ কয়েক আমি পঞ্জাব কিংসে খেলেছি। ও এমন ছেলে, যে কখনও কোনও কিছু নিয়ে অভিযোগ করে না। খুব বেশি কথাও বলে না। কিন্তু ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করে দেয়।’