ICC World Cup: ‘পাকিস্তান’ই ভরসা জুগিয়েছে! জিতে খোলসা করলেন আফগান অধিনায়ক
ICC World Cup 2023, AFG vs SL: প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের স্বপ্নপূরণের দিকেই নজর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়ায় নেমেছিল আফগানিস্তান। পাকিস্তানের যা বোলিং লাইন আপ, তাতে ২৮২ রান তাড়া করা একেবারেই সহজ নয়। আফগান ব্যাটারদের কাছে কঠিন মনে মনে হয়নি। এক ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন উইকেট হারালেও পরিস্থিতি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল মনে হয়নি।

পুণে: আফগানিস্তানের জয়কে এখন আর কেউ ‘অঘটন’ হিসেবে দেখতে নারাজ। এমনটাই স্বাভাবিক। টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডকে হারানোটা নিঃসন্দেহে বড় চমক ছিল। কিন্তু গত ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধীরস্থির জয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও রান তাড়ায় সাবলীল আফগানিস্তান। প্রায় পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হাতে রেখে ২৪২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছয় আফগানরা। রান তাড়ায় তাদের পারফরম্যান্স নজর কাড়ার মতোই। গত দু-ম্যাচে বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত উন্নতি করেছে আফগানিস্তান। স্বাভাবিক ভাবেই বড় স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছেন হসমতউল্লাহ শাহিদিরা। এখান থেকে সেমিফাইনাল সম্ভব। এই বিশ্বাস ঢুকেছিল পাকিস্তান ম্যাচের পরই! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে একটা বড় ধাক্কা দিয়েছিল আফগানিস্তান। তেমনই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের স্বপ্নপূরণের দিকেই নজর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়ায় নেমেছিল আফগানিস্তান। পাকিস্তানের যা বোলিং লাইন আপ, তাতে ২৮২ রান তাড়া করা একেবারেই সহজ নয়। আফগান ব্যাটারদের কাছে কঠিন মনে মনে হয়নি। এক ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন উইকেট হারালেও পরিস্থিতি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল মনে হয়নি।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আফগান অধিনায়ক শাহিদি বলেন, ‘পাকিস্তান ম্যাচের পরই মনে হয়েছিল, আমরা যে কোনও ধরনের টার্গেট তাড়া করতে পারি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বোলিং দুর্দান্ত হয়েছে। আর রান তাড়ায় প্রতি মুহূর্তেই পেশাদার ক্রিকেটারদের মতো পারফর্ম করেছি। ব্যক্তিগত ভাবেও দারুণ খুশি।’ দলের মানিসকতা বদলের ক্ষেত্রে কোচ জোনাথন ট্রটের বড় ভূমিকা রয়েছে, জানালেন শাহিদি। কোচিং স্টাফের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘কোচেরা সব সময়ই ইতিবাচক হন। বিশ্বকাপের আগে আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখতে কোচিং স্টাফেরা সবসময় চেষ্টা করেন। পাকিস্তান ম্যাচের আগে ট্রটের মন্তব্যই আমাদের মানিসকতা বদলে দিয়েছিল।’
প্রাপ্তির দিক থেকে এখনও অবধি আফগানিস্তানের সফলতম বিশ্বকাপ। এর আগের দুটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মাত্র দুটি জয় এসেছিল। এ বার এক সংস্করণেই তিনটে বড় দলকে হারানো। এখান থেকে সেমিফাইনালের স্বপ্ন ছাড়া আর কীই বা থাকে! তবে সেই রাস্তা সহজ নয়। সামনে আরও তিনটি কঠিন হার্ডল। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আফগান শিবির।





