Cricket: ভারতের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার প্রয়াত, দত্তাজিরাও গায়কোয়াড়কে মনে আছে?
জাতীয় টিমের হয়ে তেমন সাফল্য না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মহীরুহ ছিলেন। বরোদার হয়ে খেলতে নেমে কখনও নিরাশ করেনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ১১০টা ম্যাচ খেলেছেন। ১৭২ ইনিংসে ৫৭৮৮ রান করেছেন। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৪৯ নট আউট ছিল সর্বোচ্চ। রঞ্জিতে আরও দুটো ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। মোট ১৭টা সেঞ্চুরি ও ২৩টা হাফসেঞ্চুরি করেছেন দত্তাজিরাও। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট মহলের তারকারা।
কলকাতা: ১৯৫২ সালে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। স্বাধীন দেশের প্রথম প্রজন্মের ক্রিকেটার ছিলেন। খেলেছিলেন মোট ১১টা টেস্ট। সব মিলিয়ে করেছিলেন ৩৫০ রানও। গড় ১৮.৪২। শুধু তাই নয়, টেস্টে ভারতের অধিনায়কত্বও করেছেন। এতদিন দেশের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু সেঞ্চুরি হল না। ৯৫ বছর বয়সে মারা গেলেন দত্তাজিরাও গায়কোয়াড় (Dattajirao Gaekwad)। বরোদায় প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণতম ক্রিকেটার। সদাহাস্য মানুষের প্রয়াণে শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রিকেট মহলে।
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। দুরন্ত ডিফেন্সের সঙ্গে চমৎকার কভার ড্রাইভ মারতেন। মূলত ওপেনিং ব্যাটসম্যান হলেও ভারতের হয়ে মিডল অর্ডারেই বেশি খেলেছেন। কিন্তু সে ভাবে ছাপ রাখতে পারেননি। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ড সফরে অভিষেক হয়েছিল ভারতের হয়ে। আরও একবার ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেছিলেন। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলেছিলেন। কিন্তু টিম থেকে বারবার বাদ পড়ার কারণে আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাওয়ায় পারফরম্যান্সে ছাপ পড়ে। দুরন্ত ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন ক্রিকেট মহলে। ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে ভারতের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। নেতা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। পাঁচ টেস্টের সিরিজ ০-৫ হেরেছিল ভারত। ওই সফরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেছিল ভারত। সেই সব ম্যাচেও শোচনীয় হার হয়েছিল ভারতীয় টিমের। কিন্তু দত্তাজিরাও ব্যাট হাতে চমৎকার পারফর্ম করেছিলেন। পুরো সফরে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৭৪ রান। গড় ৩৪.৫২। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্টে ৫২ করেছিলেন, যা ছিল তাঁর সর্বোচ্চ রান।
The BCCI expresses its profound grief at the passing away of Dattajirao Gaekwad, former India captain and India’s oldest Test cricketer. He played in 11 Tests and led the team during India’s Tour of England in 1959. Under his captaincy, Baroda also won the Ranji Trophy in the… pic.twitter.com/HSUArGrjDF
— BCCI (@BCCI) February 13, 2024
জাতীয় টিমের হয়ে তেমন সাফল্য না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মহীরুহ ছিলেন। বরোদার হয়ে খেলতে নেমে কখনও নিরাশ করেনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ১১০টা ম্যাচ খেলেছেন। ১৭২ ইনিংসে ৫৭৮৮ রান করেছেন। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৪৯ নট আউট ছিল সর্বোচ্চ। রঞ্জিতে আরও দুটো ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। মোট ১৭টা সেঞ্চুরি ও ২৩টা হাফসেঞ্চুরি করেছেন দত্তাজিরাও। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট মহলের তারকারা।