Ravichandran Ashwin: ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে! রবিচন্দ্রন অশ্বিন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে যা বলছেন…
Indian Premier League: এই নিয়মের ফলে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমছে বলেই মনে করেন অনেকে। বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফেও এই নিয়ম তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বোর্ডকে। দেশের অন্যতম সেরা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের গলায় অবশ্য অন্য সুর। কার্যত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার বিরোধিতাই করছেন। কী বলছেন অশ্বিন?
আগামী আইপিএলে কি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকবে? এখনও অবধি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বার মেগা অকশন। কতজন প্লেয়ার রিটেন করা যাবে, রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্যবহার করা যাবে কিনা, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকবে কিনা, এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের উপরই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে অনেকেই অবশ্য অখুশি। এর মধ্যে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। পরিষ্কার এর বিরোধিতা করেছেন। এই নিয়মের ফলে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমছে বলেই মনে করেন অনেকে। বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফেও এই নিয়ম তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বোর্ডকে। দেশের অন্যতম সেরা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের গলায় অবশ্য অন্য সুর। কার্যত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার বিরোধিতাই করছেন। কী বলছেন অশ্বিন?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত মরসুমে রাজস্থান রয়্যালসে খেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এ বার তাঁকে চেন্নাই সুপার কিংসে ফিরতে দেখা যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করবে নিলামের উপর। বিশ্বজয়ী কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের ইউটিউব শো-তে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অশ্বিন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে বলছেন, ‘আমি এই নিয়মকে নেতিবাচক দেখি না। তার কারণও রয়েছে। আমার মনে হয়, এই নিয়মের ফলে স্ট্র্যাটেজি গড়তে সুবিধা হয়। অনেকে বলছেন, অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমছে। আমি বলব, অলরাউন্ডারদের আটকাচ্ছে কে!’
রবি অশ্বিন আরও যোগ করেন, ‘বর্তমান প্রজন্মে বোলাররা ভালো ব্যাট করছে বা উল্টোটাও সহজে দেখা যায় না। এই নিয়মের ফলে তাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে বা হীনমন্যতায় ভুগছে বলে মনে হয় না। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের দিকেই দেখুন। ও তো ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে অলরাউন্ডার হিসেবে ভালোই খেলছে। সুতরাং, প্রত্যেককেই নিজের খেলায় উন্নতি করতে হবে, বৈচিত্র আনতে হবে।’
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম কতটা কার্যকরী, গত আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের উদাহরণ টানেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। অশ্বিনের কথায়, ‘আমাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৫ করেছিল সানরাইজার্স। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ওরা শাহবাজ আহমেদকে নামায়। শেষ অবধি শাহবাজের জন্যই কিন্তু ফাইনালে উঠতে পেরেছিল সানরাইজার্স। ব্যাট হাতেও ভরসা দিয়েছে, বল হাতে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিল শাহবাজ।’
অশ্বিনের এই প্রসঙ্গটা অবশ্য এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুবিধাজনক জায়গায় ছিল রাজস্থান রয়্যালসই। সানরাইজার্সের হেভিওয়েট ব্যাটিং লাইন আপকে কাঁবু করেছিল তারা। কিন্তু শাহবাজ নেমে ম্যাচের রং বদলে দেন। চিপকের স্পিন সহায়ক পিচে বল হাতেও বড় ভূমিকা নেন শাহবাজ।