Sarfaraz Khan: লোকাল ট্রেনে ট্র্যাক প্যান্ট বিক্রি করব… সরফরাজ কেন বলেছিলেন বাবাকে?
অন্ধকার ঠেলে উঠে আসার গল্পে সব সময় চমক থাকে। কোন মোড়ে কে কতটা মরিয়া ছিলেন, স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখতে কতটা পরিশ্রম করেছেন, ভাগ্য সঙ্গ না দিলেও লড়াই থামেনি--- এ সব গল্প নতুন করে খুঁজতে হচ্ছে সরফরাজ খানের জীবনে। শুনে মনে হচ্ছে, আস্ত একটা সিনেমা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় হাজির হয়েছেন মুম্বইয়ের ছেলে।
কলকাতা: আজমগড় থেকে প্রায় কপর্দক শূন্য হয়ে পা রেখেছিলেন মুম্বইয়ে। বস্তিতে থাকতে হত তখন। লোকাল ট্রেনে শসা বিক্রি করতেন পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য। রোজগার বাড়াতে ট্র্যাক প্যান্টও বিক্রি করতেন ট্রেনে। সেই নওশাদ খান এখন আলোচনায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছেলে সরফরাজ খানের টেস্ট অভিষেক হয়েছে রাজকোটে। ৬২ করেছেন ভারতের হয়ে প্রথম বার খেলতে নেমে। রবীন্দ্র জাডেজা যদি রান আউট না করতেন, তা হলে সেঞ্চুরিও করে ফেলতে পারতেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সাফল্যের এভারেস্টে উঠতে গেলে কতখানি পথ হাঁটতে হয়, নওশাদের থেকে ভালো আর কে জানেন! ছেলেকে টেস্ট (Test Cricket) খেলতে দেখে কেঁদে ফেলেছেন বাবা। অন্ধকার রাত পেরিয়ে সোনার মতো ঝলমলে সকাল দেখে আবেগতাড়িত হবেনই তো। যদি ভারতের হয়ে খেলার অপেক্ষা শেষ না হত, কী করতেন সরফরাজ (Sarfaraz Khan)? বাবাকে বলেছিলেন। সেই গল্প শোনালেন নওশাদ।
রাজকোটে বসে ছেলের ইনিংস দেখার পর নওশাদ বলেছেন, ‘আমরা বস্তি থেকে উঠে এসেছি। বাথরুম করার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হত। ওই লাইনে দাঁড়ানোর সময় অনেকবার আমার ছেলেদের চড় খেতে হয়েছে, লোকে ওদের টপকে বাথরুমে ঢুকে গিয়েছে। শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম আমরা। আবার সেখানেই ফিরে যাব। একদিন সরফরাজ আমাকে বলেছিল, বাবা ভারতের হয়ে খেলতে না পারলে আক্ষেপ করব না! আবার লোকাল ট্রেনে ট্র্যাক প্যান্ট বিক্রি করব।’
অন্ধকার ঠেলে উঠে আসার গল্পে সব সময় চমক থাকে। কোন মোড়ে কে কতটা মরিয়া ছিলেন, স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখতে কতটা পরিশ্রম করেছেন, ভাগ্য সঙ্গ না দিলেও লড়াই থামেনি— এ সব গল্প নতুন করে খুঁজতে হচ্ছে সরফরাজ খানের জীবনে। শুনে মনে হচ্ছে, আস্ত একটা সিনেমা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় হাজির হয়েছেন মুম্বইয়ের ছেলে।