Cheteshwar Pujara: ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি, ১০০তম টেস্ট খেলার আগে কে বললেন?
অনিল কুম্বলে, কপিল দেব, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্কসরকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি, ইশান্ত শর্মা, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র সেওয়াগরা খেলেছেন ১০০টা করে টেস্ট। ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে ওই ক্লাবে যোগ দিলেন পূ্জারা।
নয়াদিল্লি: ক্রিকেট কেরিয়ারে সেঞ্চুরি করেছেন বেশ কিছু। আরও এক সেঞ্চুরির সামনে তিনি। আর সেঞ্চুরি শুধু রানের খিদে থাকলে হয় না। শুধু ধারাবাহিক হলে হয় না। এই সেঞ্চুরির জন্য দরকার পড়ে দীর্ঘদিন নিজেকে একই ভাবে মোটিভেট করে যাওয়া। ১০০তম টেস্ট খেলতে নামার আগে তাই মনে করছেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে খুব বেশি ক্রিকেটার ১০০ টেস্ট (100th Test) খেলেননি। সচিন তেন্ডুলকর খেলেছেন ২০০টা টেস্ট। রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অনিল কুম্বলে, কপিল দেব, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্কসরকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি, ইশান্ত শর্মা, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র সেওয়াগরা খেলেছেন ১০০টা করে টেস্ট। ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে ওই ক্লাবে যোগ দিলেন পূ্জারা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (Ind vs Aus) দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামার আগে কী বললেন পূজারা, তুলে ধরল TV9 Bangla।
যে স্বপ্ন দেখছেন
আরও অনেক প্রাপ্তি অপেক্ষা করে রয়েছে আমার জন্য। ১০০তম টেস্ট খেলার আগে যেমন তৃপ্ত, তেমনই রোমাঞ্চিত। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ খেলছি। দিল্লি টেস্ট জিতে আমরা পরের টেস্ট ম্যাচে নামতে চাই। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠতে চাই। আমার স্বপ্নের কথা যদি বলতে হয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটা জিততে চাই। ফাইনালে ওঠার পর ওটা নিয়ে ভাবতে শুরু করব।
১০০তম টেস্ট নিয়ে
আমি যখন থেকে ক্রিকেট খেলছি, এমনকি জাতীয় টিমে অভিষেকের সময়ও জানতাম না ১০০টা খেলব। আমি কোনও দিনই খুব বেশি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না। বর্তমানেই থাকি। এই সিরিজটা শুরুর আগে ভেবেছিলাম যে, ১০০তম টেস্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। যে কোনও লম্বা কেরিয়ারে উত্থান-পতন থাকে। আমাকেও তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ১০০তম টেস্ট খেলব, এই আশা নিয়ে কোনও দিন খেলতে নামিনি। সব সময় চেষ্টা করেছি, যে ম্যাচ বা সিরিজে খেলি না কেন, সেরাটাই দেব। আগামী দিনেও সেই লক্ষ্যই থাকবে।
পরিবার, কোচদের প্রতি কৃতিজ্ঞ
আমার কাছে পরিবারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। ছেলেবেলা থেকে বাবার কাছেই কোচিং নিয়েই বড় হয়ে ওঠা। ১০০তম টেস্ট খেলতে নামার আগে আমার মতো বাবাও খুব রোমাঞ্চিত। আমার স্ত্রীর কথাও বলতে হবে। সব সময় আমার পাশে থেকেছে। যে কোনও ক্রিকেটারের জীবনে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের পাশাপাশি যে সব কোচের সঙ্গে কাজ করেছি, যারা আমাকে কেরিয়ারে এগিয়ে দিয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।