AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিরাটই পারে ৩৬ ভোলাতে

অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই হারের ঘা এখনও শোকায়নি। মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। কাল মোতেরায় নামার আগে পর্যন্ত সেই স্মৃতি অবশ্য তাড়া করে বেড়াবে ভারতীয় দলকে। গোলাপি বলে পেসাররা সাহায্য পায়। তাই অ্যান্ডারসনদের পেস অ্যাটাক সামলানোই কোহলিদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বিরাটই পারে ৩৬ ভোলাতে
| Updated on: Feb 23, 2021 | 8:02 PM
Share

শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

স্টেজ তৈরি। শুধু বল গড়ানোর অপেক্ষা। কাল নবনির্মিত মোতেরায় শুরু ভারত-ইংল্যান্ড দিন-রাতের টেস্ট। গোলাপি টেস্ট খেলতে নামার আগে আমি আগে সাধুবাদ জানাই সৌরভকে। বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে এসেই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ও। ভারতও যে গোলাপি টেস্ট খেলতে তৈরি তা বুঝিয়ে দিয়েছিল ওর সিদ্ধান্ত। সময়ের সঙ্গে ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটেও যে বিনোদনের মশলা জুড়তে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে দিন-রাতের টেস্ট। এখনও পর্যন্ত ২টি গোলাপি টেস্ট খেলেছে কোহলিরা। তার মধ্যে একটা জিতেছে, আরেকটাতে হেরেছে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই হারের ঘা এখনও শোকায়নি। মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। কাল মোতেরায় নামার আগে পর্যন্ত সেই স্মৃতি অবশ্য তাড়া করে বেড়াবে ভারতীয় দলকে। গোলাপি বলে পেসাররা সাহায্য পায়। তাই অ্যান্ডারসনদের পেস অ্যাটাক সামলানোই কোহলিদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

দুটো টিমই কাল তিন পেসারে দল নামাবে। লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে। সিরিজ এখন ১-১। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। আর্চার আর জিমি ইংল্যান্ড দলে যোগ দেওয়ায় ওদের বোলিং শক্তি অনেকটা বেড়েছে। বোলার বেন স্টোকসকেও অনেক বেশি ব্যবহার করা হবে। ফলে সাবধানে থাকতে হবে ভারতকে। চিপকে দ্বিতীয় টেস্টে যেমন প্রথমে ব্যাট করে বড় রান করেছিল রোহিতরা, এ বারও তেমনটাই করতে হবে। প্রথম ইনিংসে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই কিন্তু অ্যাডভান্টেজ। দিন-রাতের টেস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ফ্লাডলাইট সেশন। ওই সময়টায় ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে কোহলি-রাহানেদের। ভারতের ব্যাটসম্যানরা অনেক অভিজ্ঞ। এখানেই ইংল্যান্ড দলের চেয়ে এগিয়ে কোহলিরা। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বলতে রুট আর স্টোকস। গোলাপি বলে ল্যাকারটা বেশি থাকে। যাতে সন্ধেবেলা শিশিরের কারণে বলটা ভিজে ভারী না হয়ে যায়। আমেদাবাদের নবনির্মিত উইকেটে প্রথম বার খেলা হবে। তাই সেখানকার উইকেটের চরিত্র কেমন হবে, তা দুই দলের প্লেইং ইলেভেন দেখলেই বোঝা যাবে।

আরও পড়ুন:বিরাটদের ৩৬ রুটদের ৫৮, বিপর্যয় ভুলতে দু’দলের ফোকাসে মোতেরা

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে হলে ভারতকে হারলে চলবে না। অন্যদিকে ইংল্যান্ডও ছেড়ে কথা বলবে না। দুটো টিমই জয়ের জন্য ঝাঁপাবে। একটা উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দেখার আশায় রয়েছি। তিন পেসারেই খেলুক ভারত। বুমরা, ইশান্ত আর সিরাজকে রেখে পেস অ্যাটাক সাজাক। এরই সঙ্গে আমি বলব, হার্দিক পান্ডিয়াকেও মোতেরাতে খেলাক। এক স্পিনার হিসেবে খেলুক অশ্বিন। হার্দিক পান্ডিয়া খেললে ভারতের পেস আক্রমণ যেমন বাড়বে তেমনই লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং গভীরতাও মজবুত হবে। ইংল্যান্ডেও অ্যান্ডারসন, আর্চার, ব্রডের সঙ্গে স্টোকস খেলবে। এ ক্ষেত্রে দুই দলের বোলিং শক্তিই এক হয়ে যাবে।