Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

U19 Women’s T20 WC Final: মেয়েদের মুঠোয় বিশ্ব, ইতিহাস গড়লেন শেফালিরা

U19 T20 World Cup: অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত।

U19 Women's T20 WC Final: মেয়েদের মুঠোয় বিশ্ব, ইতিহাস গড়লেন শেফালিরা
ইতিহাস গড়ল ভারতের মেয়েরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 8:24 PM

পচেস্ট্রুম: মেয়েদের ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল ভারত। অবশেষে আইসিসি (ICC) ট্রফির খরা কাটল টিম ইন্ডিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপের (U19 Women’s T20 World Cup) উদ্বোধনী আসর। এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী সংস্করণেই বাজিমাত করলেন শেফালি ভার্মা-মন্নত কাশ্যপরা। শুরু থেকেই দাপট দেখান ভারতের বোলাররা। যার ফলে, ইংল্যান্ডের ইনিংসে কাঁপুনি ধরে। বিশ্বকাপ ট্রফি দেশে নিয়ে আসতে হলে ভারতকে তুলতে হত ১২০ বলে ৬৯ রান। পুরো ২০ ওভার না খেলেই টার্গেট পূরণ করে ফেলে ভারতের মেয়েরা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

টসে জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক শেফালি। শুরু থেকেই দাপট দেখান ভারতের বোলাররা। প্রথম ওভারেই বাংলার তিতাস সাধু ইংল্যান্ডের অধিনায়ক গ্রেস স্ক্রাইভেন্সের (৪) উইকেট তুলে নেন। চতুর্থ ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন অর্চনা দেবী। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশ ব্রিগেড। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক রান করেছেন রায়না ম্যাকডোনাল্ড গে (১৯)। তিতাস-মন্নতদের দাপটে ইংল্যান্ডের মাত্র চার ক্রিকেটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পেরেছিলেন। পুরো ২০ ওভার অবধি গ্রেসদের খেলতেই দেননি তিতাস-মন্নত-পার্শ্ববীরা। ১৭.১ ওভারের মাথায় ৬৮ রান তুলে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারতের হয়ে ছয় বোলারই আজ উইকেট পেয়েছেন। তিতাস, অর্চনা ও পার্শ্ববী পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মন্নত, শেফালি ও সোনম যাদব।

ব্যাট হাতে ফাইনালে তেমন চমক দেখাতে পারলেন না শেফালি। তৃতীয় ওভারের মাথায় শেফালির উইকেট তুলে নেন হানা বেকার। ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন ভারত অধিনায়ক। চতুর্থ ওভারের মাথায় শেফালির ডেপুটি শ্বেতা শেরাওয়াতের উইকেট হারায় ভারত। পুরো টুর্নামেন্টে দুরন্ত ছন্দে থাকা শ্বেতা ফাইনালে করেন ৫ রান। তৃতীয় উইকেটে সৌম্যা তিওয়ারি ও গোগাড়ি তৃষার পার্টনারশিপে ভর করে প্রায় ম্যাচ বের করে নিয়ে যায় ভারত। অতিরিক্ত তাড়াহুড়োয় বোল্ড হয়ে যান তৃষা। তিন রান বাকি থাকাকালীন বাংলার হৃষিতা বসু ব্যাটিংয়ে নামেন। শেষ অবধি উইনিং শট আসে সৌম্যা তিওয়ারির ব্যাটে। সৌম্যা উইনিং শট মারতেই মাঠে বাজতে শুরু করল ‘চাক দে ইন্ডিয়া’। সতীর্থরা দৌড়ে আসেন মাঠের ভেতর। তারপর মাঠ প্রদক্ষিণ করেন।

বিশ্বকাপের মঞ্চ শেফালিদের কোচ নুশিন আল কাদিরের কাছে নতুন নয়। ২০০৫ সালে প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্লেয়ার হিসেবে নুশিন হেরে গিয়েছিলেন। নুশিনের সেই আক্ষেপটা অবশেষে মিটল। এ বার কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন নুশিন।

মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতীয় দল এর আগে কখনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি। ২০০৫ সালে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছিল উইমেন্স ইন ব্লুকে। ২০১৭ সালে ফের ওডিআই বিশ্বকাপে খেলেছিল ভারত। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। সেখানে ৯ রানে হেরে গিয়েছিলেন মিতালি রাজরা। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেখানেও হারই জোটে টিম ইন্ডিয়ার কপালে। সিনিয়ররা পারেননি ভারতকে আইসিসি ট্রফি এনে দিতে। সেটাই এ বার করে দেখাল ভারতের জুনিয়ররা।

শেফালি ভার্মা এই মুহূর্তে মেয়েদের ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছেন। জুনিয়র স্তরে তো বটেই, পাশাপাশি সিনিয়র স্তরেও তাঁর খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই নিয়ে তিনটি মেগা টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেললেন শেফালি। আগের দু’টিতে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলেও, এ বার তেমনটা হল না। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিলেন শেফালি। ভারতের ঝুলিতে এল ট্রফিও।