T20 World Cup 2021: শোয়েব ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নেমেছিলাম, বলছেন শাহিন
বিরাট কোহলির টিমের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে জয়টাই বিশ্বাস গড়ে দিয়েছিল টিমের। ওই ম্যাচে ২১ বছরের বাঁ হাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Shah Afridi) অবিশ্বাস্য বোলিং করেছিলেন।
দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2021) প্রথম ম্যাচে ভারতকে (India) হারানোর পর থেকেই ছন্দ পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)। গ্রুপ লিগের বাকি ম্যাচে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠে পড়েছিলেন বাবর আজমরা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠতে না পারলেও গ্রিন আর্মির উত্থান নিয়ে সর্বত্র প্রশংসার ঝড় বইছে। বিশ্বকাপের আগে যাঁরা কোনও আলোচনাতেই ছিল না, তাঁরাই যে সব হিসেব উল্টেপাল্টে দেবেন, বোঝাই যায়নি।
বিরাট কোহলির টিমের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে জয়টাই বিশ্বাস গড়ে দিয়েছিল টিমের। ওই ম্যাচে ২১ বছরের বাঁ হাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Shah Afridi) অবিশ্বাস্য বোলিং করেছিলেন। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হওয়ার পর শাহিন ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে কী পরিকল্পনা ছিল তাঁর, খুলে বলেছেন।
পাকিস্তান টিমের সিনিয়র ক্রিকেটার শোয়েব মালিক পরামর্শ দিয়েছিলেন, লেন্থ বল করতে। অফস্টাম্পের বাইরে বল পেলে রোহিত-রাহুলরা অবলীলায় চার মারবেন। শাহিন বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে শোয়েব ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি কি ফুললেন্থে বল রাখব? ও বলেছিল, কোনও অবস্থাতেই ফুললেন্থে বল করো না। লেন্থ বোলিং করো। আমি বুঝেছিলাম, ও ঠিকই বলছে। প্রথম ওভারে খুব একটা সুইং আমি পাব না। তার থেকে লেন্থ বোলিং করাই ভালো।’
শোয়েবের কাছে পরামর্শ নেওয়ার কারণই ছিল তাঁর অভিজ্ঞতা। রোহিতকে ইয়র্কারে বোলিং করলেও রাহুলের ভিতরে ঢুকে আসা বলটা ছিল মারাত্মক। এতটাই যে, বিশ্বকাপের সেরা ডেলিভারি বলা যেতে পারে। শাহিন বলেছেন, ‘২২ বছর ধরে পাকিস্তানের হয়ে খেলছে শোয়েব ভাই। প্রচুর অভিজ্ঞতা। কোন পরিবেশে কী রকম বোলিং করা উচিত, ও খুব ভালো করে জানে। আর সেই কারণেই রাহুলকে কেমন বল করা উচিত, শোয়েব ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলাম।’
রাহুলকে আউট করে দেওয়ার পর শোয়েব ভাইয়ের কাছেই ছুটেছিলেন শাহিন। তাঁর মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ দিতে। রোহিতকে নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল শাহিনের? তাঁর কথায়, ‘আমি খুব ভালো করে জানতাম, রোহিত কতটা ভয়ঙ্কর ব্যাটার। ও একবার দাঁড়িয়ে গেলে আউট করা মুশকিল। সেই কারণেই ওকে ইয়র্কার দিতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, ইয়র্কারে ও সমস্যায় পড়তে পারে। তা-ই হয়েছিল। রাহুল সিঙ্গল নিয়ে নন-স্ট্রাইকারে যেতেই আমি নিজেকে বলেছিলাম, এ বার রোহিতকে ইয়র্কার দেব। সেটা দিতে পারলে ও মিস করতে পারে। ওই ইয়র্কারে যদি সামান্য সুইং মেশাতে পারি, তা হলে ওকে আউট করা সম্ভব।’
রোহিত-রাহুল আউট হতেই ভারতীয় টিম তীব্র চাপে পড়ে গিয়েছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদি যদি ওই অবিশ্বাস্য স্পেলটা না করতেন, তা হলে ম্যাচটা ১০ উইকেটে জিতত না পাকিস্তান।