IPL STATS : চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, এ বারের আইপিএলে আর কী কী নজির হল!

IPL 2023 Final, CSK vs GT : ফাইনালে নিজের শেষ ২০ বলে সাই সুদর্শনের স্ট্রাইকরেট। শেষ ২০ বলে ৬০ রান করেন সাই। আধডজন বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরেছেন। প্রথম ২৭ বলে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও ১টি ছয়।

IPL STATS : চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, এ বারের আইপিএলে আর কী কী নজির হল!
Image Credit source: IPL
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 7:17 PM

আবেগ, উচ্ছ্বাস, দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে পঞ্চম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এ মরসুমে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। কার্যত সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ট্রফি জিতলে অবসর ঘোষণা করবেন মাহি। যদিও পোস্ট ম্যাচে বাস্তব স্বীকার করেও জানিয়েছেন, পরের মরসুমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ফাইনালটা অবশ্য ফিনিশার ধোনির কাছে হতাশার কেটেছে। মঞ্চ প্রস্তত ছিল। তিনি নামলেন বিশাল গর্জনে। কিন্তু সেটা যে প্রথম বলেই থেমে যাবে এমন প্রত্যাশা কেউ করেননি। ফাইনালে গোল্ডেন ডাক ধোনি। যদি এটাই তাঁর শেষ ম্যাচ হয়ে থাকে, এই বিষয়টা হয়তো কিছুটা হলেও আক্ষেপ রাখবে। তবে সোমবার মাঝরাতে ধোনি হয়ে উঠলেন রবীন্দ্র জাডেজা। শেষ দু-বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। স্যার জাডেজা ওভার বাউন্ডারি এবং বাউন্ডারিতে ম্যাচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়েন। এই ম্যাচের পর কী কী নজির তৈরি হল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

৫- চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএল ট্রফি সংখ্যা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছুঁয়ে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস। দু-দলের আইপিএল ট্রফি সংখ্যাই এখন এক।

৫- অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আইপিএল ট্রফি জয়ের নজির ছিল রোহিত শর্মার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাঁচটি ট্রফিই জিতেছে রোহিতের নেতৃত্বে। এ বার তাঁকে ছুঁয়ে ফেললেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসও ধোনির নেতৃত্বেই পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন।

৪-পঞ্চম ট্রফি জিততে শেষ বলে এই রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে দু-বার এমন পরিস্থিতি এসেছিল, যেখানে চার কিংবা চার বেশি রান প্রয়োজন ছিল এবং রান তাড়ায় জয় এসেছে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। দীনেশ কার্তিক ছয় মেরে চ্যাম্পিয়ন করেন ভারতকে। ২০২১ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির ফাইনালে শেষ বলে ছয় মেরে তামিলনাডুকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শাহরুখ খান।

৬-প্রথম সুযোগেই ফাইনাল। চেন্নাই সুপার কিংস এমনটাই করেছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল এবং চ্যাম্পিয়নও হল। আইপিএলে টানা ছ’বার প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে যাওয়া টিমই চ্যাম্পিয়ন হল। ২০১১ সাল থেকে প্লে-অফ ফরম্যাট চালুর পর আইপিএলে ১৩ মরসুমের মধ্যে ১০ বারই প্রথম সুযোগে ফাইনালে ওঠা দল চ্যাম্পিয়ন হল।

২৬- রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ে ২৬ বার অপরাজিত থাকলেন স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর সামনে শুধুই মেহন্দ্র সিং ধোনি। যিনি রান তাড়া করে জয়ের ক্ষেত্রে ২৭ বার অপরাজিত থেকেছেন।

৩- এ বারের আইপিএলে পার্পল ক্যাপ জিতেছেন গুজরাট টাইটান্সের পেসার মহম্মদ সামি। তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানই গুজরাট টাইটান্স বোলারদের দখলে। সামি (২৮), রশিদ খান (২৭) এবং মোহিত শর্মা (২৭)। আইপিএলের ইতিহাসে এ বারই প্রথম পার্পল ক্যাপের তালিকায় শীর্ষ তিনটি স্থান একই দলের বোলারের।

২৩২.৩৯- এ বারের আইপিএলে পেসারদের বিরুদ্ধে রাহানের স্ট্রাইকরেট! এক মরসুমে পেসারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকরেটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রাহানে (অন্তত ১০০ বল খেলা ব্যাটারদের মধ্যে)। পেসারদের বিরুদ্ধে এ মরসুমে ৭১ বলে ১৬৫ রান করেছেন রাহানে। মাত্র দু-বার আউট হয়েছেন। টিম ডেভিড গত মরসুমে করেছিলেন ১৫৪ রান, স্ট্রাইকরেট ২৫২.৪৫। এর আগে ২০১৪ সালের আইপিএলে জেমস ফকনার ২৪২.৮৫ স্ট্রাইকরেটে ১৩৬ রান করেছিলেন।

২১৪-৪- ফাইনালে সিএসকের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্স এই স্কোর গড়ে। শুধুমাত্র আইপিএলই নয়, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালেই এটি সর্বাধিক স্কোর। প্রথম বার এত বড় স্কোর গড়েও ফাইনালে হার। এর আগে ২০১৬ আইপিএল ফাইনালে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ২০০-৭ স্কোর গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

৯৬-ফাইনালে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় গুজরাট টাইটান্সের তরুণ ব্যাটার সাই সুদর্শনের। আইপিএল ফাইনালে এটি তৃতীয় সর্বাধিক স্কোর। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অপরাজিত ১১৭ এবং পঞ্জাব কিংসের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা আইপিএল ফাইনালে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

৩০০- ফাইনালে নিজের শেষ ২০ বলে সাই সুদর্শনের স্ট্রাইকরেট। শেষ ২০ বলে ৬০ রান করেন সাই। আধডজন বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরেছেন। প্রথম ২৭ বলে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। এর মধ্যে ছিল দুটি বাউন্ডারি ও ১টি ছয়।

২১ বছর, ২২৬ দিন- আইপিএল ফাইনালে দ্বিতীয় কণিষ্ঠতম ব্যাটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরির নজির সাই সুদর্শনের।

৫৬- ফাইনালে চার ওভারে এই রান দেন সিএসকে পেসার তুষার দেশপান্ডে। আইপিএল ফাইনালে যুগ্মভাবে সর্বাধিক। ২০১৬ সালের আইপিএল ফাইনালে শেন ওয়াটসন চার ওভারে দিয়েছিলেন ৬১ রান। অন্য দিকে, ২০২১ সালের আইপিএলে সিএসকের বিরুদ্ধে ৫৬ রান দিয়েছিলেন লকি ফার্গুসন।

৮৯০- এ বারের আইপিএলে শুভমন গিলের মোট রান। আইপিএলের এক মরসুমে এটিই দ্বিতীয় সর্বাধিক। ২০১৬ সালের আইপিএলে বিরাট কোহলি ৯৭৩ রান করেছিলেন।

৫-এ মরসুমে পাঁচ বার ২০০ প্লাস স্কোর গুজরাট টাইটান্সের। সবকটিই ঘরের মাঠ আমেদাবাদে।