Taiwan China Conflict: ‘স্বাধীনতা চাই’ বলতেই ক্রুদ্ধ লাল ফৌজ, ৩২৩ জনকে নিয়ে সাঙ্ঘাতিক পরিকল্পনা চিনের!
Taiwan China Conflict: স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া জানান, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের মধ্যে কিছু তাইওয়ানী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক এবং সমাজমাধ্যম প্রভাবীও রয়েছেন, যারা 'তাইওয়ানের স্বাধীনতা'কে সমর্থন করেন।

বুধবার চিনা সরকার একটি ইমেল আইডি প্রকাশ করে বলেছে তাইওয়ানকে যাঁরা স্বাধীন দেখতে চায়, সেই সব ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যেন সেখানে পাঠানো হয়। চিনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে এখনও পর্যন্ত সেই ইমেল আইডিতে ৩২৩ জনের সম্পর্কে তথ্য জমা পড়েছে। চিনা সরকারের মতে এই ভাবনা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান। আর লাল ফৌজের দেশে রাষ্ট্রদ্রোহের একটাই শাস্তি, তা হল মৃত্যুদণ্ড।
স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া জানান, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের মধ্যে কিছু তাইওয়ানী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক এবং সমাজমাধ্যম প্রভাবীও রয়েছেন, যারা ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’কে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ওই ইমেলে এই সব লোকেদের কার্যকলাপের কথাও উল্লেখ রয়েছে। যেমন ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করা, চিনের একীকরণকে সমর্থনকারী সংস্থাগুলিকে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া এবং তাইওয়ানে বসবাসকারী মূল ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণকারী স্বামী বা স্ত্রীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থের স্পষ্ট লঙ্ঘনের মতো ঘটনাও উঠে এসেছে।
চেন জানান, চিনা কর্তৃপক্ষ তথ্য এবং আইনি নিয়মের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ‘তাইওয়ান স্বাধীনতা’ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী এবং সহযোগীদের জবাবদিহি করতে হবে। তদন্তের পর, যদি ৩২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত। চিন তাইওয়ানকে তাঁদের অংশ বলে মনে করে। অন্যদিকে তাইওয়ানবাসিদের একাংশ নিজেকে একটি পৃথক দেশ বলে দাবি করে। তাইওয়ান চিনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে ক্রমাগত সংগ্রাম করে চলেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাইওয়ানকে চিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। সাম্প্রতিক সময়ে, চিনের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার কারণে, আমেরিকা তাইওয়ান সরকারকে প্রচুর সহায়তা করেছে, যার বিরোধিতাও করে শি জিনপিং সরকার।





