WPL 2024: রিচার ব্যাটে উইনিং রান, বিরাটদের আগে ট্রফি জয় স্মৃতির RCB-র
Delhi Capitals vs Royal Challengers Bangalore: দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ হাজার দর্শকের সামনে ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখাও প্রয়োজন ছিল। স্মৃতি মান্ধানা এবং সোফি ডিভাইনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪৯ রান। প্রথম উইকেট হিসেবে আউট সোফি (৩২)। স্মৃতির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন এলিস পেরি। অফ স্পিনার মিন্নু মনিকে আক্রমণে আনেন মেগ ল্যানিং। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট স্মৃতি।
বিরাট কোহলি দেশে ফিরেছেন। তিনি কি উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখছিলেন? বার্তা হয়তো দেবেন। তাঁর কাছেও যে গর্বের দিন। ২০০৮ সালে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। শক্তিশালী দল গড়েও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও প্রথম মরসুম হতাশায় কেটেছিল বিরাটের মতোই জার্সি নম্বর ১৮ স্মৃতি মান্ধানার। লিগ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল তারা। এ বার প্রথম প্লে-অফ এবং চ্যাম্পিয়ন। কিং কোহলির আগেই চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে তুললেন কুইন স্মৃতি মান্ধানা। ফাইনালে গত বারের রানার্স দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারাল আরসিবি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
স্মৃতি মান্ধানা, এলিস পেরি, সোফি ডিভাইন, সোফি মলিনিউ। বিশ্ব ক্রিকেটের সুপার স্টাররা রয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে। প্রথম মরসুমে লিগ পর্বেই আরসিবির ছিটকে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত ছিল। এ মরসুমে তারকাদের পাশাপাশি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তরুণরাও। ব্যাটিং-কিপিংয়ে আলাদা করে বলতে হয় রিচা ঘোষের কথা। একঝাঁক স্টাম্পিং করেছেন টুর্নামেন্টে। অনবদ্য ক্যাচ নিয়েছেন, রান আউট করেছেন। ফাইনালে অনবদ্য বোলিং আরসিবির স্পিন ত্রয়ী সোফি মলিনিউ, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল ও আশা শোভানার। স্পিনেই এসেছে তিন উইকেট। ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট করেছেন মলিনিউ। প্রথম ট্রফি জিততে আরসিবির প্রয়োজন ছিল ১১৪ রান।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ হাজার দর্শকের সামনে ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখাও প্রয়োজন ছিল। স্মৃতি মান্ধানা এবং সোফি ডিভাইনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪৯ রান। প্রথম উইকেট হিসেবে আউট সোফি (৩২)। স্মৃতির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন এলিস পেরি। অফ স্পিনার মিন্নু মনিকে আক্রমণে আনেন মেগ ল্যানিং। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট স্মৃতি। ৩৯ বলে ৩১ রান করেন আরসিবি ক্যাপ্টেন। ক্রিজে আসেন ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ। তখনও প্রায় বল এবং প্রয়োজনীয় রান সমান।
শেষ চার ওভারে আরসিবির টার্গেট দাঁড়ায় ২৮ রান। হাতে ৮ উইকেট। সে কারণেই অ্যাডভান্টেজ আরসিবিরই। বড় শট খেলতে অভ্যস্ত রিচা। যদিও ফাইনালের মঞ্চে দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রয়োজন ছিল। সেট ব্যাটার এলিস পেরিকে সঙ্গ দিলেন রিচা। দ্রুত ট্রফির সঙ্গে দূরত্ব কমতে থাকে আরসিবির। শেষ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ৫ রান। সাইড লাইনে আরসিবি প্লেয়াররা প্রস্তুত মাঠে দৌড়নোর জন্য। প্রথম বলে সিঙ্গল নিয়ে পেরিকে স্ট্রাইক দেন রিচা। পরের বলেই তাঁর কাছে স্ট্রাইক আসে। তৃতীয় বলে ইনসাইড আউট শটে বাউন্ডারি মেরে ট্রফি নিশ্চিত করেন রিচা ঘোষ।