CAB Election: ‘নীতু আমার বন্ধু’, ইস্টবেঙ্গল কর্তাকে নিয়ে হঠাৎ কেন এ কথা বললেন সৌরভ?

Sourav Ganguly: সিএবি থেকে বেরিয়েই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে মিনিট পনেরো থেকে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে চলে যান মহারাজ।

CAB Election: 'নীতু আমার বন্ধু', ইস্টবেঙ্গল কর্তাকে নিয়ে হঠাৎ কেন এ কথা বললেন সৌরভ?
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 8:11 PM

কলকাতা: ঘটনার সূত্রপাত সেই কয়েক মাস আগে থেকে। তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ইনভেস্টর সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এই অবস্থায় এক সন্ধ্যায় আচমকাই সিএবি-তে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। এক ঘন্টারও বেশি সময় সিএবিতে সৌরভের (Sourav Ganguly) সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা। সে দিনের ওই বৈঠক দুই পক্ষই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে এড়িয়ে গিয়েছিল। শোনা যায়, সিএবি নির্বাচনের অঙ্ক তখন থেকেই তৈরি হয়। পরে জানা যায়, ইস্টবেঙ্গলে ইনভেস্টর আনতে উদ্যোগী হন মহারাজ। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও চালিয়েছিলেন সৌরভ। পরে নিজেও সরকারী ভাবে সেই কথা বলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সৌরভের ওই ঘোষণার পর দিনই নবান্নে ইমামিকে ইনভেস্টর হিসেবে পায় ইস্টবেঙ্গল। যোগসূত্র করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনার কয়েক মাস পর পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরে যাওয়ার পর সিএবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান সৌরভ। সর্বসমক্ষে তা জানিয়ে দেন মহারাজ। অন্য দিকে বিরোধী শিবিরেও লাগে পাল। সিএবি নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক কর্তা সিএবিতে আসতে উদ্যোগী হন। আর সেই কর্তাকে সমর্থন করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে থাকে। আর এই সমীকরণ সাজাতেই পুরোদমে আসরে নেমে পড়েন সৌরভ। শেষ দিনেও জমে ওঠে তুমুল নাটক। শেষ পর্যন্ত দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে রেখে সিএবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন সৌরভ। অবশ্যই স্ট্র্যাটেজিক মুভ। সিএবি ছাড়ার সময় সৌরভ বলেন, ‘নির্বাচন হয়নি, তাই লড়িনি। নির্বাচন হলে লড়তাম। আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম। তাতে আরও দু’জনের পদ নষ্ট হত। নতুন কেউ আসতে পারত না। আমার মনে হয়, এখনই সঠিক সময় নয়।’

শাসক বিরোধী কোনও প্যানেল জমা পড়েনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে শেষ দিনেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। সিএবিতেই তা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন সৌরভ ঘনিষ্ঠ কর্তারা। যা নিয়ে সৌরভ বলেন, ‘সিএবিতে কোনও বিরোধী নেই। নীতু (দেবব্রত সরকার) আমার বন্ধু।’ সিএবি থেকে বেরিয়েই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে মিনিট পনেরো থেকে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে চলে যান মহারাজ। আর বলেন, ‘এই ক্লাবে অনেক বছর খেলেছি। তাই একটু দেখা করে গেলাম।’ অতীতেও সিএবি নির্বাচন সরগরম করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের সিএবি নির্বাচনে বিরোধীশূন্য প্যানেল জমা পড়লেও, ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেই গেল।