Nou Mestalla: ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠছে বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম? ভ্যালেন্সিয়ায় হঠাৎই আশার আলো

হঠাৎই নৌ মেস্তালার ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে কেন? ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে স্পেনও। পর্তুগাল ও মরক্কোকে পিছনে ফেলে তা যদি সম্ভব হয়, তা হলে নৌ মেস্তালার দিনের আলো দেখা সম্ভব।

Nou Mestalla: ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠছে বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম? ভ্যালেন্সিয়ায় হঠাৎই আশার আলো
Nou Mestalla: ধংস্বস্তুপ থেকে জেগে উঠছে বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম? ভ্যালেন্সিয়ায় হঠাৎই আশার আলোImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2023 | 12:27 PM

ভ্যালেন্সিয়া: তৈরি হওয়ার আগেই রীতিমতো চমকে দিয়েছিল প্রস্তাবিত ছবি। তখনই গালভরা নামও মিলে গিয়েছিল— বিশ্বের সেরা স্টেডিয়াম! প্রবল উৎসাহে শুরুও হয়ে গিয়েছিল কাজ। ২০০৭ সালের ঘটনা এ সব। দুটো বছর ধরে তৈরি করা হয়েছিল প্রাথমিক কাঠামো। যা দেখে সত্যিই মোহিত হয়ে গিয়েছিল ফুটবল দুনিয়া। কিন্তু তারপর কী হল? অর্থের অভাবে আটকে গিয়েছে কাজ। প্রায় ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্বের সেরা স্টেডিয়ামে (Stadium) বল আর গড়ায়নি। ভ্যালেন্সিয়ার সেই নৌ মেস্তালা ধংস্বস্তুপ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এখন। ধুলো ঝেড়ে সেই স্টেডিয়ামই নাকি আবার আধুনিক দুনিয়ায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। কেনই বা পরিত্যক্ত হল নৌ মেস্তালা? কী ভাবেই বা ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে? TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।

বহু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বের সেরা স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হলেও থেমে যেতে সময় লাগেনি। বিপুল দেনার কারণেই থেমে গিয়েছিল। নৌ মেস্তালা ভ্যালেন্সিয়ার হোম গ্রাউন্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। গত ১৪ বছর ধরে এই স্টেডিয়াম বারবার ফিরে এসেছে আলোচনায়। কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মনে হয়েছে, খুব শিগগিরি হয়তো ফুটবল বিশ্বে পা রাখবে ওই স্টেডিয়াম। কিন্তু আলোচনাই সার হয়েছে। নৌ মেস্তালার কোনও বদল হয়নি। উল্টে ধীরে ধীরে বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছে। মেস্তালা বিক্রির প্রবল চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু ৮০ হাজার দর্শক সম্বলিত স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে যে টাকা লগ্নি হয়েছিল, তা দেওয়ার মতো লোক পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্কে দেনাও হয়ে গিয়েছিল বিপুল, তাও শোধ করার মতো লোক এগিয়ে আসেননি। ফলে স্টেডিয়ামের কাজ থেমে থেকেছে বছরের পর বছর।

হঠাৎই নৌ মেস্তালার ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে কেন? ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে স্পেনও। পর্তুগাল ও মরক্কোকে পিছনে ফেলে তা যদি সম্ভব হয়, তা হলে নৌ মেস্তালার দিনের আলো দেখা সম্ভব। ভ্যালেন্সিয়ার মেয়র মারিয়া জোস কাতালা বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা পরিস্থিতির দিকে স্রেফ নজর রাখছি। এক দশক আগে ওই স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তার মানে এই নয় যে, স্টেডিয়ামটাকে আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। স্পেন যদি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারে, তা হলে ভ্যালেন্সিয়া অন্যতম ভেনু হিসেবে কিন্তু এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। কিন্তু যদি সেটা না হয়, এ ভাবেই পড়ে থাকবে। নৌ মেস্তালা নিয়ে নতুন করে আশা দেখার কোনও জায়গা থাকবে না।’