Anwar Ali: ছাড়পত্র পেলেন আনোয়ার, ডুরান্ড ডার্বিতেই মাঠে পঞ্জাব তনয়!
East Bengal-Mohun Bagan Transfer Saga on Anwar Ali: নিজের ফুটবল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেন পঞ্জাব তনয়। তার আগে মোহনবাগানে পাকাপাকি ভাবে খেলতে চেয়ে ক্লাবকে জানিয়েওছিলেন। কিন্তু মোহনবাগান আগ্রহ না দেখাতেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেন তিনি।
কলকাতা: আনোয়ার বিতর্কের জট অনেকটাই খুলল। এক মাস আগে ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করে ফেলে আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। তারপর থেকেই টিভি নাইন বাংলা পরিস্থিতি অনুযায়ী বারবার জানিয়েছে, এই ইস্যুতে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে ইস্টবেঙ্গল। তার কারণ, ফুটবলারের ইচ্ছে এখানে অনেকটাই প্রাধান্য পেতে পারে। আনোয়ার লোন চুক্তিতে মোহনবাগানে সই করেছিলেন। নিজের ফুটবল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেন পঞ্জাব তনয়। তার আগে মোহনবাগানে পাকাপাকি ভাবে খেলতে চেয়ে ক্লাবকে জানিয়েওছিলেন। কিন্তু মোহনবাগান আগ্রহ না দেখাতেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাথমিক চুক্তিতে সই করেন তিনি। ফুটবলারের স্বার্থ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। আর এটাতেই অ্যাডভান্টেজ পজিশনে ছিল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটিতে আনোয়ার আলি ইস্যুতে শুনানি হয়। যেখানে দিল্লি এফসি আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। এই দুই ক্লাব আগেই নিজেদের মতামত জানানোর জন্য প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছে ১০ দিন সময় চেয়ে রেখেছে।
শনিবার রাতের ডেভলপমেন্ট, ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন আনোয়ার আলি। মোহনবাগান ছেড়ে অন্য ক্লাবে খেলতে এনওসির দরকার ছিল। আর ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি থেকে সেই ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন আনোয়ার। মাদার ক্লাব দিল্লি এফসিতে ফিরে গেলেন তিনি। এবার যে কোনও ক্লাবে সই করতে পারেন আনোয়ার। আর কোনও বাধা রইল না।
কিন্তু কহানি মে টুইস্ট। আনোয়ার যে ক্লাবে সই করবেন, তাতে অত্যাধিক ঝুঁকি থাকবে। সেই ক্লাব কিংবা ফুটবলার উভয়ের জন্যই তা ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ২২ অগাস্ট বিকেল ৫টায় আনোয়ার ইস্যুর পরবর্তী শুনানি। চৃড়ান্ত রায় না বেরনো পর্যন্ত আনোয়ার আলি এবং আগ্রহী ক্লাবের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ট্রান্সফার ব্যান বা আর্থিক ক্ষতিপূরণের মধ্যে পড়তে পারে সেই ক্লাব। শাস্তির মুখে পড়তে পারে আনোয়ারও। শনিবার প্রাথমিক রায়ের পর আনোয়ারের ট্রান্সফার সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি হবে। রবিবার রাতেই শহরে আসছেন আনোয়ার। দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের সঙ্গেই শহরে পা রাখছেন। সোমবার ইস্টবেঙ্গলে সই করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। সেক্ষেত্রে জমে যেতে পারে ১৮ তারিখের ডুরান্ড ডার্বি।