Euro 2020 Final: বর্ণবিদ্বেষের শিকার র্যাশফোর্ড, স্যাঞ্চোরা, উত্তাল ইংল্যান্ড
মেট্রোপলিটান পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, কারা এ সবের মধ্যে জড়িয়েছেন, তার পুরো নথি আছে পুলিশের কাছে।
লন্ডন: ইতালির (Italy) কাছে ইউরো কাপের (Euro Cup) ফাইনাল হারের পর অশান্তির কালোছায়া ইংলিশ ফুটবলে। অনলাইনে ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়েছে। মার্কাস র্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যাঞ্চো, বুকায়ো সাকারা টিমের কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার। যাঁরা টাইব্রেকারে কিক মিস করেছিলেন। তাঁদের নিয়েই আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে।
পুরো ঘটনা এতটাই জটিল আকার নিয়েছে যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) রীতিমতো প্রতিবাদ জানিয়েছেন। টুইটারে লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড টিমের হিরোর সম্মান পাওয়া উচিত। যারা দেশের ফুটবলারদের নিয়ে কদর্য মন্তব্য করছে, তাদের নিজেদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত।’
This England team deserve to be lauded as heroes, not racially abused on social media.
Those responsible for this appalling abuse should be ashamed of themselves.
— Boris Johnson (@BorisJohnson) July 12, 2021
পুরো ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও এক বিবৃতি জারি করেছে। ঘোর নিন্দা করে তাতে বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে ইংল্যান্ড ফুটবলারদের নিয়ে কদর্য মন্তব্য করা হয়েছে, তা অত্যন্ত অবাক করার মতো। এই জঘন্য ঘটনার ঘোর প্রতিবাদ করছে এফএ। কে বা কারা এই ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তা আমরা জানি না। কিন্তু এমন আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে যা যা করার দরকার, তাই করব আমরা। অভিযুক্তদের যাতে শাস্তি হয়, তাও দেখা হচ্ছে।’
ম্যাচের আগে থেকেই ওয়েম্বলি কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। ইউরো ফাইনাল দেখার জন্য বিনা টিকিটেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বেশ কিছু সমর্থক। সেটাই তীব্র আকার নিয়েছিল ম্যাচের পর। ইউরো জেতার জন্য ইতালির উত্সবে মেতে ওঠা আজুরি সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে মেট্রোপলিটান পুলিশ ৫০জনকে গ্রেপ্তারও করেছে। ১৯জন পুলিশ মারামারিতে পড়ে আহতও হয়েছেন।
সব কিছুকে অবশ্য ছাপিয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবিদ্বেষ মন্তব্য। ইংল্যান্ড টিমের তরফেও এ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘টিমের ফুটবলাররা দেশের জার্সিতে সর্বস্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে তাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে, সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
মেট্রোপলিটান পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, কারা এ সবের মধ্যে জড়িয়েছেন, তার পুরো নথি আছে পুলিশের কাছে। এই আচরণ একেবারেই মেনে নিচ্ছেন না তাঁরা। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এই রকম যাবতীয় পোস্ট ডিলিট করার দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ইউরো কাপে সেরা ফুটবলার কে, দেখে নিন