Euro 2020 Final: দুই বুড়োর গল্পে মাতোয়ারা ফুটবল বিশ্ব
ইংল্যান্ড সমর্থকরা, যাঁরা দুই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারদের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন, তাঁদের বলে গেলেন বেশি করে ইতালিয়ান পাস্তা খেতে।
লন্ডন: ইংল্যান্ডের (England) আক্রমণে একাধিক তরুণ। তাদের গতিও ভয়ঙ্কর। সামলা দিতে পারবেন ইতালির দুই ‘বুড়ো’? একজনের বয়েস ৩৪। আর একজন আগামী মাসে ৩৭-এ পা দেবেন। ৯০ মিনিট নয় ১২০ মিনিট দাপিয়ে খেললেন দুই বুড়ো। স্টার্লিং, সাকা, গ্রেলিসের মত তরুণ ফুটবলারদের গতি হার মানল বনুচ্চি, কিয়েল্লিনির অভিজ্ঞতার কাছে। ম্যাচ শেষে টিভি ক্যামেরার সামনে বনুচ্চি সদর্পে বলে গেলেন, ইটস কামিং টু রোম। ইংল্যান্ড সমর্থকরা, যাঁরা দুই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারদের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন, তাঁদের বলে গেলেন বেশি করে ইতালিয়ান পাস্তা খেতে।
কিয়েল্লিনি ও বনুচ্চি। দুই বন্ধু। দেশের জার্সিতে একসঙ্গে ২০০ বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। মাঠে দলের অধিনায়ক হিসেবে নামেন কিয়েল্লিনি। কিন্তু একসঙ্গে দু’জন মিলেই নেতৃত্ব দেন দলকে। ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার জ্বালাটা ভালোই জানেন। দলের বাকিদের মধ্যে সেই জ্বালাটা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। সুখে, দুঃখে সবার পাশে থাকা ইতালি পরিবারের দুই বড়় ভাইয়ের মতো। রক্ষণে যতটা জমাট, দলের দায়িত্বেও ততটাই। তাই স্ট্রাইকাররা যখন গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারছিলেন না, তখন গোল বনুচ্চির। বক্সে বন্ধুর জন্য গোলের দরজাটা খুলে দিয়েছিলেন কিয়েল্লিনি।
টিভি ধারাভাষ্যকাররা বারবার বলছিলেন, বুধবার একসঙ্গে পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাবেন কিয়েল্লিনি ও বনুচ্চি। তবে তার আগে বুঝিয়ে গেলেন, কাতার বিশ্বকাপে তাঁদের হাতেই থাকবে দলের দায়িত্ব। কোচ মানচিনিকে ইউরো কাপের ট্রফিটা দিয়ে দুই বুড়ো যেন বলে গেলেন, এবার পালা কাতার বিশ্বকাপের। লোক বুড়ো বলে বলুক। জর্জিও কিয়েল্লিনি (Giorgio Chiellini) ও লিওনার্দো বনুচ্চি (Leonardo Bonucci) জানেন, বুড়ো হাড়ে কি করে ভেল্কি দেখাতে হয়!
আরও পড়ুন: Euro 2020 Final: বর্ণবিদ্বেষের শিকার র্যাশফোর্ড, স্যাঞ্চোরা, উত্তাল ইংল্যান্ড