Real Madrid-Vinicius Jr: বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভিনিসিয়াস, পাশে দাঁড়াল ব্রাজিল ফুটবল
Brazil Football : ব্রাজিলের মানবাধিকার কমিশনও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। লা লিগা প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার তেবাসও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

সাও পাওলো: বর্ণবিদ্বেষ ইস্যুতে এ বার কড়া পদক্ষেপ ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের। লা লিগায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মন্তব্য ঘিরে। ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে বর্ণবৈষম্যের শিকার হন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার এরপরই স্পেনের ফুটবলপ্রেমীদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটান। ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের মাঝেই দর্শকদের আচরণে রেগে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এমনকি গ্যালারির দিকে ছুটেও যান ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কোনও মতে তাঁকে সামলান ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলাররা। পরে ম্যাচে লাল কার্ডও দেখেন ভিনিসিয়াস। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারের পরই স্পেনের ফুটবলপ্রেমীদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে ভিনিসিয়াস সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয়বার নয়। লা লিগায় বর্ণবিদ্বেষ হয়েই থাকে। এখানে বিষয়টাকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয় না। এমনকি ফেডারেশনও এই জিনিসটা নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামায় না। প্রতিপক্ষরাও আরও উস্কানি দেয়। বোনাল্ডিনহো, রোনাল্ডো, মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো লেজেন্ডরা যে লিগে খেলেছেন সেখানে এখন শুধুই বর্ণবৈষম্য।’ ভিনির টুইটের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে নিয়ে। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ফিফা সবসময়ই বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন ফুটবল ফেডারেশনও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। ভিনিসিয়াসের টুইটের পরই তাঁর পাশে দাঁড়াল ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। এমনকি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলাও এর বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন তিনি। সেখানে G7 মিটিংয়ে সুর চড়ান লুলা। ফিফা, স্প্যানিশ লিগ এবং অন্যান্য সকার বডিকে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি। লুলা বলেন, ‘একজন গরীব ছেলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন আচরণ কখনই কাম্য নয়। রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম সেরা ফুটবলার এখন সমস্ত স্টেডিয়ামে অপমানিত হচ্ছে।’
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সবসময়ই বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। স্পেনের ফুটবল কর্তৃপক্ষ এবং লা লিগা কমিটির কাছে এ বিষয়টা আমরা তুলে ধরছি। ব্রাজিল সরকার কোনও ভাবেই বৈর্ষম্যকে প্রাধান্য দেবে না। এ ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন না হয়ে কৃষ্ণাঙ্গরা যাতে বিশ্বের সর্বত্র খেলতে পারে, তা দেখাই আমাদের কাজ।’
ব্রাজিলের মানবাধিকার কমিশনও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। লা লিগা প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার তেবাসও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।





