ISL 2022-23: ধাপে ধাপে ইস্টবেঙ্গলের উন্নতি চান কনস্ট্যান্টাইন
নর্থ ইস্ট ম্যাচের পয়েন্ট নষ্টের আফশোস যাচ্ছে না লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের। একই সঙ্গে ম্যাচ ড্র হওয়ায় হতাশ তিনি। বাকি তিন ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গলের নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই।
কলকাতা: আইএসএলের প্লে অফ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ১৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে লাল-হলুদ। রবিবার চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। সমসংখ্যক ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের আট নম্বরে আছে চেন্নাইয়িন এফসি। বাকি তিন ম্যাচে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে চায় ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের আগে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চান স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন (Stephen Constantine)। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-৩ ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে দু’বার এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ক্লেটন সিলভারা। নর্থ ইস্ট ম্যাচের পয়েন্ট নষ্টের আফশোস যাচ্ছে না লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের। একই সঙ্গে ম্যাচ ড্র হওয়ায় হতাশ তিনি। বাকি তিন ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গলের নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। যদিও কোচ কনস্ট্যান্টাইন মনে করেন, সুপার কাপের আগে দলের মনোবল বাড়াতে এই তিন ম্যাচই অ্যাসিড টেস্টের সমান। বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
কার্ড সমস্যায় চেন্নাইয়িন ম্যাচে নেই অ্যালেক্স লিমা। আইএসএলে ইতিমধ্যেই চারটে কার্ড দেখে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডিও। দলের প্রধান ফুটবলার ক্লেটন সিলভা ৩টে হলুদ কার্ড দেখেছেন। নতুন করে আর হলুদ কার্ড দেখতে চাইছেন না তিনি। বাকি তিন ম্যাচ খেলে লিগের টপ স্কোরার হতে মরিয়া ক্লেটন সিলভা। চেন্নাই, মুম্বই ম্যাচের পরই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। যদিও রবিবারের চেন্নাই ম্যাচই এখন পাখির চোখ কনস্ট্যান্টাইনের। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ৩টে ম্যাচ শেষের পরই সুপার কাপ নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা শুরু করব। সুপার কাপের জন্য এখনও হাতে সময় রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছি না। এটাই দলের ব্যর্থতা।’ এই দলের পজিটিভ দিক কি? কনস্ট্যান্টাইনের উত্তর, ‘আইএসএলের টপ স্কোরার আমাদের দলের ফুটবলার। এটিকে মোহনবাগান বা বেঙ্গালুরু এফসির কোনও ফুটবলার কিন্তু সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে নেই। এটাই আমাদের প্রাপ্তি। অবশ্যই দলের জন্য পজিটিভ দিক। রক্ষণের কিছু ভুলভ্রান্তির জন্য আমরা গোল হজম করেছি। পরের মরসুমে সেগুলোকে শুধরে নিতে হবে।’
পরের মরসুমেও কনস্ট্যান্টাইনের কোচ থাকার সম্ভাবনা বেশি। আগামী মরসুমের প্ল্যানিং এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন। দলে খুব বেশি পরিবর্তন করতে চান না ব্রিটিশ কোচ। তিনি বলছেন, ‘একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ফুটবলার প্রত্যেক বছর পাল্টালে দলের ভারসাম্য তো নষ্ট হবেই। কি ভাবে সেই দল খেতাবি দৌড়ে থাকবে। রাতারাতি সাফল্য আসে না। অপেক্ষা করতে হয়। পরের বছর আমরা প্লে অফ খেলার টার্গেট করব। তার পরের বছর প্রথম চারে থাকার চেষ্টা করব। এরপর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই নিয়ে ভাবব। ধাপে ধাপে উন্নতি আসবে। প্রত্যেক বছর বেশি ফুটবলার বদলের পক্ষে আমি নই। চার থেকে পাঁচজন ফুটবলার বদল করতে হয়। লিভারপুলের কোচ ক্লপ সেভাবেই কিন্তু সাফল্য এনে দিয়েছে।’ ইস্টবেঙ্গল দলের খামতি কোথায়? কোচের প্রতিক্রিয়া, ‘আমরা বেঙ্গালুরুকে দু’বার হারিয়েছি। কেরলকে হারিয়েছি। আমাদের দিনে আমরা যে কোনও দলকে হারাতে পারি। সেটা করে দেখিয়েছি। তবে ধারাবহিকতার অভাব রয়েছে। সেটাই শুধরে নিতে হবে।’ নবাগত বিদেশি জেক জার্ভিসের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুটো ম্যাচে ভালোই পারফর্ম করেছে ও। এর আগে বেশ কয়েকমাস ম্যাচের মধ্যে ছিল না। আরও আগে ওকে পেলে আমরা হয়তো ৪ থেকে ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে থাকতাম।’