আকোস্তা-কোলাডো বিতর্কে ৬৭ লক্ষ টাকার বোঝা ইস্টবেঙ্গলের

ফেডারেশন (AIFF) সূত্রে খবর, শুধু আকোস্তা নয়। কোলাডো (Jaime Colado) ইস্যুতেও ব্যাকফুটে লাল-হলুদ। ক্লাবের কাছে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে কোলাডো ইস্যুতে পাঠানো ফিফার (FIFA) চিঠি। চুক্তিভঙ্গ এবং বকেয়া টাকার মোট হিসেব ধরলে, কোলাডো বিতর্ক মেটাতে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা দিতে হবে।

আকোস্তা-কোলাডো বিতর্কে ৬৭ লক্ষ টাকার বোঝা ইস্টবেঙ্গলের
আকোস্তা-কোলাডো ইস্যুতে চাপে ইস্টবেঙ্গল। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 8:00 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

মাঠ এবং মাঠের বাইরে জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। একে ইনভেস্টর, চুক্তি বিতর্ক ফালাফালা করে দিচ্ছে, তারই মধ্যে টেনশন আরও বাড়িয়ে দিল ফিফার (FIFA) চিঠি। কোস্তারিকান (Costa Rica) বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা (Johnny Acosta) ২০১৯-২০ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেললেও ৩ মাসের মাইনে বকেয়া। যা ‘উদ্ধার’ করতে ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ট্রান্সফার ব্যান (Transfer Ban) করার সঙ্গে সঙ্গে আকোস্তার বকেয়া টাকা দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দিল। ফেডারেশন (AIFF) সূত্রে খবর, শুধু আকোস্তা নয়। কোলাডো (Jaime Colado) ইস্যুতেও ব্যাকফুটে লাল-হলুদ। ক্লাবের কাছে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে কোলাডো ইস্যুতে পাঠানো ফিফার (FIFA) চিঠি। চুক্তিভঙ্গ এবং বকেয়া টাকার মোট হিসেব ধরলে, কোলাডো বিতর্ক মেটাতে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ক্লাবের কাছে বকেয়া আকোস্তার। মানে, এই দু’জনের বিতর্ক মেটাতে ৬৭ লক্ষ টাকার বোঝা ক্লাবের মাথায়।

আরও পড়ুন: আইএসএলে বিদেশি কমে ৪, স্কোয়াডে ২ যুব ফুটবলার বাধ্যতামূলক

ফিফার (FIFA) চিঠি চাপে ফেলে দিয়েছে লাল-হলুদ কর্তাদের। যা মেটাতে না পারলে নতুন মরসুমের জন্য ফুটবলার নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে থাকবে। টিম গঠনের প্রক্রিয়া যে কারণে থমকে রয়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি আকোস্তার বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার (Debabrata Sarkar)  বলেন, ‘কোয়েস আমাদের সব দিক থেকে মেরে ফেলেছে। ওই ঝামেলাই আমাদের বয়ে বেরাতে হচ্ছে। ট্রান্সফার ব্যান যাতে উঠে যায়, তার জন্য আকোস্তার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি। ওই অর্থ আমরা কোয়েসের কাছে দাবি করব।’ প্রশ্ন হল, তবে কি কোয়েসের (Quess) বিরুদ্ধে আইনি পথে যাবে ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রত বলেন, ‘আইনি পথে যাব কি যাব না আমরা ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের নয়, কার্যকরী সমিতি ঠিক করবে।’ ঘটনা হল, আকোস্তা, ফিফা ব্যান এবং ইস্টবেঙ্গল এই ৩ ইস্যুতেই জড়িয়ে গিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। ক্লাবের বর্তমান ইনভেস্টরকেই ফিফা চিঠি পাঠিয়ে পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছে। সেই চিঠি ক্লাবকে পাঠায় লগ্নিকারী সংস্থা। টার্মশিটে রয়েছে, ক্লাব যদি এই রকম কোনও পূর্ববর্তী বকেয়ার মুখে পড়ে, শ্রী সিমেন্টে (Shree Cement) তা মিটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ১ মাসের মেয়াদে ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে ক্লাবকে। ঘটনা কি সেই দিকেই গড়াচ্ছে? তার উত্তর আপাতত মিলছে না। তবে শ্রী সিমেন্ট হঠাৎ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বেশ বিরক্তই। বরং শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) তরফে বলা হচ্ছে, তারা এই জটিলতার শরিক হবে না। এ নিয়ে শ্রী সিমেন্ট কোনও সরকারি মন্তব্য করতে না চাইলেও দেবব্রত বলছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে কখনও যে পড়তে হতে পারে ক্লাবকে আমরা ভাবতেও পারিনি। ওই সময় যদি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি আচমকাই বাতিল না করত কোয়েস, তাহলে হয়তো এই ঝামেলা পোয়াতে হত না। আমরা আশা করছি, সব কিছু মিটে যাবে দ্রুত।’