Kolkata Derby: কলিঙ্গ সুপার কাপে আজ কলকাতা ডার্বি; এক ম্যাচ, লাখো স্বপ্ন
East Bengal vs Mohun Bagan, Kolkata Derby: কলিঙ্গ সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে একটা অদ্ভূত পার্থক্য আছে। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থেকেও গোল খেয়েছে। শেষ অবধি জিতে মাঠ ছাড়লেও এই একটা অস্বস্তি থাকছেই। গোল করে সেটা ধরে রাখতে না পারা। এর ফলে আক্রমণভাগের ওপরও বাড়তি চাপ পড়ে। মোহনবাগানের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে উল্টো। গোল খেলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। শক্তির দিক থেকে কাগজে কলমে অবশ্য বেশ কিছুটা পিছিয়ে মোহনবাগান।
প্রথম বার ডার্বি হচ্ছে! একে বারেই না। তবে প্রতি ডার্বি একই উন্মাদনা, উত্তেজনা এবং প্রত্যাশার চাপের। কলিঙ্গ সুপার কাপে আজ কলকাতা ডার্বি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মুখোমুখি। কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে। তার আঁচ সারা দেশেই। এমনকি বিদেশেও ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা তাকিয়ে এই ম্যাচের দিকে। সুপার কাপে একই গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। গ্রুপের শেষ ম্যাচ ডার্বি। গ্রুপ থেকে একটা দল সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ মরসুমে দু-বার মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সেটা ডুরান্ড কাপে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এ মরসুমে এখনও ডার্বি হয়নি। তার আগেই কলিঙ্গ সুপার কাপে ডার্বি। দু-দলই গ্রুপের প্রথম ম্যাচ দুটি জিতেছে। তবে গোল বেশি করার সৌজন্যে অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ড্র হলে সেমিফাইনালে যাবে ইস্টবেঙ্গল। আদৌ কি ডার্বিতে কাউকে এগিয়ে পিছিয়ে রাখা যায়! বোধ হয় না। ডুরান্ড ডার্বি দুটোর কথাই ধরা যাক। টানা আটটি ডার্বি জিতে ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান। সবুজ মেরুন সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল টানা ৯টি ডার্বি জয়। আর ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন ছিল, ‘আর নয়’। নন্দকুমারের একমাত্র গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনালে সেই ডার্বি হেরেই রানার্স লাল-হলুদ।
কলিঙ্গ সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে একটা অদ্ভূত পার্থক্য আছে। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থেকেও গোল খেয়েছে। শেষ অবধি জিতে মাঠ ছাড়লেও এই একটা অস্বস্তি থাকছেই। গোল করে সেটা ধরে রাখতে না পারা। এর ফলে আক্রমণভাগের ওপরও বাড়তি চাপ পড়ে। মোহনবাগানের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে উল্টো। গোল খেলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। শক্তির দিক থেকে কাগজে কলমে অবশ্য বেশ কিছুটা পিছিয়ে মোহনবাগান। জাতীয় দলে একঝাঁক ফুটবলার। চোটের জন্য নেই আশিক। আট জন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারকে পাচ্ছে না মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ শিবিরে এই সমস্যা তুলনামূলক কম।
ডার্বির আগে হাবাসের স্পেশাল ক্লাসে ছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। ডার্বিতে টেকনিক্যাল এরিয়ায় থাকবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডাই। গত দু-ম্যাচে ক্লিফোর্ডই ছিলেন। দল জিতেওছে। ডার্বিতেও সহকারীর ওপরই ভরসা রাখছে সবুজ মেরুন শিবির। তার যথেষ্ট কারণও আছে। বছরের শুরুতেই হেড কোচ ফেরান্দো বিদায়ের পর মোহনবাগানকে জয়ের রাস্তায় ফিরিয়েছেন ক্লিফোর্ডই। আজকের হার্ডলটা পার করতে পারলে মোহনবাগানে সোনায় সোহাগা। ইস্টবেঙ্গল শিবিরও মরিয়া ট্রফি জিততে। তার আগে এই হার্ডলটাই যেন সবচেয়ে কঠিন।