করোনা কেড়ে নিল টেবল টেনিস তারকা চন্দ্রশেখরকেও
ভারতীয় টেবল টেনিস (Table Tennis) জগতে তাঁকে অন্যতম সেরা তারকা ধরা হয় এখনও।
নয়াদিল্লি: খারাপ খবরের সুনামি যেন থামছেই না। করোনার (COVID-19) ছোবলে পর পর মারা যাচ্ছেন ক্রীড়া দুনিয়ায় তারকারা। ফের খেলার জগতে নক্ষত্রপতন। করোনা কেড়ে নিল তিন বারের জাতীয় টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়ন তারকা বেণুগোপাল চন্দ্রশেখরকে (Venugopal Chandrasekhar)। বুধবার চেন্নাইয়ে প্রয়াত হলেন ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস ও বিশ্ব মিটে খেলা তামিলনাড়ুর চন্দ্রশেখর। ভারতীয় টেবল টেনিস (Table Tennis) জগতে তাঁকে অন্যতম সেরা তারকা ধরা হয় এখনও।
গত শতাব্দীর আটের দশকে টিটি-তে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন চন্দ্র। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ব্যাপক হইচই ছিল জাতীয় মিডিয়ায়। দেশের মতো আন্তর্জাতিক স্তরেও সাফল্য পেতে শুরু করেছিলেন। টেবল টেনিসে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। সেইসময় নিজের কেরিয়ারের সেরা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন চন্দ্র। কিন্তু মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ছন্দপতন। তাঁর খেলোয়াড় জীবন থমকে যায় ওই সময়। ১৯৮৪ সালে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করান তিনি। কিন্তু ভুল চিকিৎসার জন্য প্রায় মারাই যাচ্ছিলেন টিটি তারকা। কোমাতেও চলেছিলেন প্রায় চার মাস। ভুল চিকিৎসার জন্য পায়ের পাশাপাশি চোখেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। থমকে যায় উজ্জ্বল কেরিয়ার। বহু চেষ্টার পর, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার করানোর পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেইসময় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর তিনি একখানা বইও লেখেন। ‘মাই ফাইটব্যাক ফ্রম ডেথস ডোর’। সেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন নিজের জীবনের অন্ধকারময় সময় থেকে লড়াই করে নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার কাহিনী। চন্দ্রর সেই আত্মজীবনীমূলক বই পাঠকমহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
নিজের কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পর, কোচিংই বেছে নেন চন্দ্র। আসলে টিটি বোর্ডের ধারেকাছেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তৈরি করেছিলেন নিজের অ্যাকাডেমিও। সেখানে গড়ে তোলেন মৈথিলি, সাতিয়ান, শ্রীনিবাসনদের মতো পরবর্তী প্রজন্মের তারকাদের। তাঁর মৃত্যুর খবরে ছাত্র সাতিয়ান শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, “আমার কাছে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওঁনার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এই মুহূর্তে আমি গভীরভাবে শোকাহত।”