Achinta Sheuli: প্যারিস অলিম্পিকের লক্ষ্যে অচিন্ত্যর সঙ্গে টক্কর জেরেমির

জাতীয় দলের কোচ বিজয় শর্মা একে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হিসেবেই দেখছেন।

Achinta Sheuli: প্যারিস অলিম্পিকের লক্ষ্যে অচিন্ত্যর সঙ্গে টক্কর জেরেমির
Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 7:00 AM

নয়াদিল্লি : বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games)। ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছেন অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। বাংলার এই ভারোত্তোলকের মূল লক্ষ্য ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের (Paris 2024) যোগ্যতা অর্জন এবং অবশ্যই পদক। ৭৩ কেজি বিভাগে অংশ নেন অচিন্ত্য। অলিম্পিকের লক্ষ্য়ে তাঁর সঙ্গে টক্কর দিতে চলেছেন আরেক ভারতীয় ভারোত্তোলক। জেরেমি লালরিননুনগা। তিনিও বার্মিংহ্যাম গেমসে সোনা জিতেছেন। জেরেমি অংশ নেন ৬৭ কেজি বিভাগে। সমস্যা এখানেই। প্যারিস অলিম্পিকে ৬৭ কেজি বিভাগের কোনও ইভেন্ট নেই। সেখানে ৭৩ কেজি বিভাগ রয়েছে। আর এই বিভাগে ভারতের যোগ্য প্রতিনিধি হতে পারেন অচিন্ত্য শিউলি। প্যারিস অলিম্পিকের দৌড়ে থাকতে ক্যাটেগরি বদলাচ্ছেন জেরেমি।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপকে লক্ষ্য করেই আমেরিকায় বিশেষ শিবির হচ্ছে ভারতের সিনিয়র ভারোত্তোলকদের নিয়ে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অলিম্পিকের যোগ্যতার্জন ইভেন্টও। সে কারণেই সিনিয়র ভারোত্তোলকরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন না। জেরেমি শিবিরে থাকলেও তাঁর পক্ষে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন কঠিন। আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন সংস্থা প্যারিস অলিম্পিকে ৬৭ কেজি বিভাগ তুলে দিয়েছে। ৭৩ কেজি বিভাগে ভারতের প্রতিনিধি রয়েছেন অচিন্ত্য শিউলি। অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ৭৩ কেজি বিভাগে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা জেরেমির। ৭৩ কেজি বিভাগে জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী অচিন্ত্য এই বিভাগেই কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে সোনার পদক দিয়েছেন। অলিম্পিকে একটি ক্যাটেগরিতে একজনই অংশ নিতে পারবেন। আর এই বিভাগেই অচিন্ত্যর সঙ্গে টক্করে নামতে চলেছেন জেরেমি।

আমেরিকার সেইন্ট লুইসে স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং শিবির চলছে ভারতীয় ভারোত্তোলকদের। জেরেমি বলছেন, ‘আমি ওজন বাড়াতে চলেছি। আমার ওজন ৬৫ কেজি। সুতরাং, হঠাৎ করে ওজন বাড়ানো বেশ কঠিন।’ এবারই প্রথম ওজন বাড়ানোর পরিকল্পনা নয় জেরেমির। ২০১৮ সালে যুব অলিম্পিকে ৬২ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন জেরেমি। এরপর ৬৭ কেজি বিভাগে অংশ নিতে শুরু করেন। এবার তাঁর লক্ষ্য ৭৩ কেজি। গত দু’বছর শরীরের ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হননি জেরেমি। বলছেন, ‘ওজন কিছুতেই বাড়ছে না। ২০১৯ থেকেই চেষ্টা করছি অন্তত ৭০ কেজি অবধি পৌঁছনোর। ডায়েটের পরিকল্পনা এবং সাপ্লিমেন্টে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। অনুশীলনে নানা দিকে বদল করতে হবে।’ জাতীয় দলের কোচ বিজয় শর্মা একে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হিসেবেই দেখছেন। বলছেন, ‘অচিন্ত্য এবং জেরেমি একই ওয়েট ক্যাটেগরিতে। প্রত্যেকের সঙ্গেই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। না হলে, সকলেই হয়তো অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকে হালকা ভাবে নিতে পারে। যোগ্যতা অর্জনের জন্য ওদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’