লকডাউন বাড়ল টোকিওতে, গেমস নিয়ে অনিশ্চয়তাও
পরিস্থিতি যা, তা বিচার করলে কিন্তু অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) সম্ভাবনা একটু একটু করে কমছে।
টোকিও: আশঙ্কা ছিল, আলোচনাও ছিল। তাই ঘটল শেষ পর্যন্ত। করোনার (COVID-19) প্রকোপ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাপানে (Japan)। তাই বাধ্য হয়ে লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বাড়ানোরই সিদ্ধান্ত নিল জাপান সরকার। প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা শুক্রবার ঘোষণা করলেন, ১১ মে-র পরও লকডাউনেই থাকবে দেশ। পুরো মে মাস জুড়ে বহাল রাখা হবে লকডাউনের সুরক্ষা বলয়। যাতে করোনার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর অলিম্পিক ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ আরও ঘনিয়ে উঠেছে। ২৩ জুলাই থেকে শুরু অলিম্পিক (Tokyo Olympics)। মে মাসের পর যদি স্বাভাবিক হয় টোকিওর পরিস্থিতি, তাতেও কি হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে, অলিম্পিকের মতো এত বড় একটা খেলা আয়োজন করার জন্য? আয়োজকদের তরফে অবশ্য এখনও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, অলিম্পিক আয়োজন যে ভাবে শুরু হয়েছিল, সে ভাবেই চলছে। লকডাউনের প্রভাব তাতে পড়েনি। গতবছর নির্ধারিত সময়ে হওয়ার কথা ছিল অলিম্পিক। সেই ডেটলাইন অনুযায়ী প্রায় সব কিছু তৈরি হয়ে রয়েছে। তাই অলিম্পিক নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
কিন্তু পরিস্থিতি যা, তা বিচার করলে কিন্তু অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) সম্ভাবনা একটু একটু করে কমছে। বিদেশি দর্শক আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে অলিম্পিকে। দেশী সমর্থকদেরও হয়তো সুরক্ষার কারণে স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি দেবে না আয়োজকরা। কিন্তু তাতেও করোনা ঠেকাতে পারবে কিনা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের নিরাপত্তার ভার নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। একবার করোনা সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়লে হুহু করে বাড়বে সংক্রমণ। এই দিকটা তুলে ধরেই অলিম্পিক আয়োজন করার ব্যাপারে এখনও তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে ওই দেশের আমজনতা।
আরও পড়ুন: ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি ম্যাঞ্চেস্টার ও ভিয়ারিয়াল