মৃত্যুর ৭দিন আগে মাথায় চোট পান মারাদোনা, চাঞ্চল্যকর দাবি

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মারাদোনার (Maradona) মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে রহস্য। আর সেই রহস্যে নতুন ইন্ধন পাওয়া গেল এক আইনজীবীর (lawyer) বক্তব্যে। মৃত্যুর সাত দিন আগে পরে গিয়ে মাথায় চোট (head injury) পান মারাদোনা। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই দাবি করছেন মারাদোনার নার্সের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর সাত দিন আগে পরে গিয়ে মাথায় […]

মৃত্যুর ৭দিন আগে মাথায় চোট পান মারাদোনা, চাঞ্চল্যকর দাবি
Follow Us:
| Updated on: Dec 01, 2020 | 6:28 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মারাদোনার (Maradona) মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে রহস্য। আর সেই রহস্যে নতুন ইন্ধন পাওয়া গেল এক আইনজীবীর (lawyer) বক্তব্যে। মৃত্যুর সাত দিন আগে পরে গিয়ে মাথায় চোট (head injury) পান মারাদোনা। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই দাবি করছেন মারাদোনার নার্সের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর সাত দিন আগে পরে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন ফুটবল রাজপুত্র। কিন্তু তারপরও তাঁর সিটি স্ক্যান বা এমআরআই হয়নি। তার দিন কয়েক আগেই মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার হয়েছিল মারাদোনার। মৃত্যুর দিনও মারাদোনা বাড়িতে একাই ছিলেন। সেটা মোটেই কাম্য ছিল না। দাবি তার।

ইতালির এক সংবাদপত্রে এই তথ্য সামনে এনেছে। মারাদোনার নার্স ও তার আইনজীবী তাদের বয়ানে আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর মারাদোনাকে সব সময় দেখভালের জন্য একজন নার্স রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মারাদোনার ব্যক্তিগত ডাক্তার সেই সবকিছুর ব্যবস্থা করেননি। এমনকি মারাদোনার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেই নার্স মৃত্যুর কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মারাদোনার বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে বরখাস্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: ক্যানবেরাতে বিরাটদের সম্মানের লড়াই

মারাদোনার মৃত্যু প্রথম দিকে স্বাভাবিক মনে হলেও, তার দুই মেয়ের দাবিকে কেন্দ্র করে রহস্য তৈরি হতে শুরু করে। মারাদোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা দাবি করেছিলেন ফুটবল রাজপুত্রের চিকিৎসকের অবহেলার জন্য মৃত্যু হয়েছে তাদের বাবার। এই দাবির পরই শুরু হয়েছে তদন্ত। মারাদোনার ডাক্তারের বাড়িতে তল্লাশি করে পুলিশ। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মারাদোনার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মেডিক্যাল স্টাফদের। এদিকে মারাদোনার ডাক্তার নিজের সমর্থমনে একটাই কথা বলছেন, মারাদোনা সামলানো কঠিন ছিল। তাঁর নাকি রিহ্যাবের প্রয়োজন ছিল।