Neeraj Chopra : নীরজ চোপড়া… সোনার ছেলের সাফল্যের মন্ত্র জানেন?
১৫ জুলাই শুরু হচ্ছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ। তাঁর বর্শায় পদক আসবেই, দৃঢ় বিশ্বাস। নীরজেরও কি একই বিশ্বাস? কী তার সাফল্যের মন্ত্র!
নয়াদিল্লি : টোকিও অলিম্পিক। নীরজ চোপড়া। ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে উজ্জ্বল মুহূর্ত। তার আগে এই নাম ছিল শুধুই সম্ভাবনা। পদক আসতেও পারে, এখন বদলে গিয়েছে, পদক আসবেই। সকলের মধ্যে এই বিশ্বাস একদিনে আসেনি। নীরজের মধ্যেও না। সাফল্যের জন্য শুধু প্রতিভা থাকাই যথেষ্ট নয়। আরও অনেক কিছুই প্রয়োজন। প্রতিটি সফল ক্রীড়বিদ এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যেই থাকে। টোকিও-তে সোনা জয়ের পরও নীরজ কিন্তু সেই রাস্তা থেকে বিচ্যুত হননি। লক্ষ্য রয়েছে ৯০ মিটার জ্যাভেলিন ছোঁড়ার। লক্ষ্য পূরণ হয়নি, লক্ষ্যচ্যুতও হননি। ১৫ জুলাই শুরু হচ্ছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ। তাঁর বর্শায় পদক আসবেই, দৃঢ় বিশ্বাস। নীরজেরও কি একই বিশ্বাস? কী তার সাফল্যের মন্ত্র!
ধৈর্য : কিছুদিন আগেই স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে অংশ নিয়েছিলেন নীরজ। সেখানে তিনি জ্যাভেলিন ছোঁড়েন ৮৯.৯৪ মিটার। অল্পের জন্য ৯০-র লক্ষ্য পূরণ হয়নি। নীরজ বলেছিলেন, ‘নিজের সেরাটা দিতে চাই। প্রতিযোগিতা উন্নতি হচ্ছে। সার্বিকভাবে আমারও উন্নতি হয়েছে। আমার লক্ষ্য ৯০ মিটার। সেটার জন্য প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখব না।’ অনূর্ধ্ব ২০ স্তরে অ্যাথলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। পাঁচ বছর পর টোকিও অলিম্পিকে ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভেলিন ছুঁড়ে সোনা জয়। ভারত বর্ষে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম অলিম্পিক সোনা। নীরজের মতে, ‘জ্যাভেলিনের মতো খেলায়, নীজেকে সময় দিতে হবে ভালো কিছু হওয়ার। ধৈর্য রাখতে হবে।’
আত্মবিশ্বাস : আত্মবিশ্বাস না থাকলেও কোনও খেলা, এমনকি জীবনের অন্য কোনও ক্ষেত্রেও সাফল্য আসবে না। সুতরাং, নীরজ মনে করেন, সাফল্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, আত্মবিশ্বাস। বলছেন, ‘সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক আত্মবিশ্বাস। নিজের দক্ষতার উপর ভরসা রাখতে হবে। দেশের জন্য এবং নিজের জন্য ভালো কিছু করার বিশ্বাস থাকা খুবই জরুরি।
কঠোর পরিশ্রম : টোকিও অলিম্পিকে নামার আগে চরম অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছেন নীরজ। হাল ছাড়েননি। চোট পেয়েছেন, অস্ত্রোপচার হয়েছে, এতকিছুর পরও ভেঙে পড়েননি, স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারই সুফল পেয়েছেন বিশ্ব মঞ্চে। নীরজের কথায়, ‘সাফল্যের কোনও শর্টকাট রাস্তা নেই। অনেকেই যেটা বলে থাকে, অনেক কাঠ-খর পোড়াতে হয়। সেটাই কঠোর পরিশ্রম।’ ধৈর্য, বিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রমে সাফল্য আসে, তার বড় উদাহরণ নীরজ চোপড়।