অলিম্পিক নিয়ে ঘোর আশঙ্কায় টোকিও

আয়োজকরা এখনও আশায় আছেন, করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়ে গেলে অলিম্পিক করতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু সেটা নিয়ে চাপ কম নেই।

অলিম্পিক নিয়ে ঘোর আশঙ্কায় টোকিও
আশঙ্কার প্রহর গুনছে অলিম্পিক। ছবি সৌজন্যে: টুইটার (টোকিও অলিম্পিক)
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2021 | 3:45 PM

টোকিও : দেশ জুড়ে চলছে জরুরি অবস্থা। তার পরও সরকারি মহলে বলা হচ্ছে, টোকিও অলিম্পিক হবেই। জাপানের জনসাধারণ যতই বিরোধীতা করুক, করোনার আতঙ্ক ছড়াক নতুন করে, টোকিও অলিম্পিক পিছনো সম্ভব নয়। গেমস হবে নির্ধারিত সময়েই। তবু থামছে না প্রশ্ন। টোকিও অলিম্পিক কি পিছনো সম্ভব? আয়োজকদের তরফে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, পিছনোর কোনও ভাবনাই নেই। ২৩ জুলাই থেকে গেমস যদি শুরু না হয়, তা হলে বাতিলই করে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি টোকিও অলিম্পিক নিয়ে যে সমীক্ষা হয়েছে, তার রিপোর্ট অনুযায়ী ৮০ শতাংশ মানুষই টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করার বিরুদ্ধে। সোফিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কোইচি নাকানো বলেছেন, ‘জাপানের অধিকাংশ মানুষই চান না অলিম্পিক হোক। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার পর তো অনেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে অলিম্পিক হবে না।’

আরও পড়ুন : প্রস্তুতি শুরু টিম ইন্ডিয়ার, লক্ষ্য সিরিজ জয়

অলিম্পিক আয়োজন করতে না পারলে জাপান সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ, করোনার পর এটাই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস ইভেন্ট। শুধু তাই নয়, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়বে জাপান। নাকানো যা নিয়ে বলছেন, ‘জাপান আর চিনের মধ্যে চিরকালীন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। অলিম্পিকের পরই বেজিংয়ে উইন্টার অলিম্পিক হওয়ার কথা। ফলে একটা চাপ এ দিকে থাকবেই। তবে টোকিও গেমস না হলে কিন্তু ব্যাপক চাপে পড়ে যাবে জাপান। কারণ, চিন শীতকালীন গেমস আয়োজন করার সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে না।’

আয়োজকরা এখনও আশায় আছেন, করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়ে গেলে অলিম্পিক করতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু সেটা নিয়ে চাপ কম নেই। ২০০ দেশের প্রায় ১৬ হাজার অ্যাথলিট অংশ নেবেন গেমসে। সেই সঙ্গে হাজির থাকবেন ১০ হাজার কোচ, কর্তা, স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদমাধ্যম এবং দর্শকরা। ওই ব্যাপক জনসমাগম কি ভাবে সামলাবে টোকিও, সেটাই চিন্তা। ২৫ মার্চ জাপানে শুরু হবে অলিম্পিকের টর্চ ব়্যালি। যেখানে অংশ নেবেন ১০ হাজার মানুষ।

একটা প্রশ্ন থাকছে, টোকিও অলিম্পিকেও কি বায়ো বাবল রাখা সম্ভব। যে প্রশ্ন একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডাঃ আতসুও হামাদা বলেছেন, ‘গেমসের কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা বহু গুণ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু বায়ো বাবল মেথড ব্যবহার করার কোনও সুযোগ নেই। সেটা করতে হলে অসংখ্য জৈব সুরক্ষা বলয় বানাতে হবে। যেটা সম্ভব নয়।’